উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় আবার বন্যার আশঙ্কা

সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত বিদ্যালয়ফাইল ছবি

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উজানে ভারতীয় অংশে আবারও ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় আরেক দফা বন্যা হতে পারে। এতে সুনামগঞ্জের বেশি এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এই বন্যা দুই–তিন দিনের বেশি স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, সিলেট বিভাগের উজানে ভারতের আসামের বরাক নদের উজানেও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় আরেক দফা বন্যা হতে পারে। মাসের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই বন্যাও দুই থেকে তিন দিনের বেশি স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বিশেষ করে তিস্তা ও বরাক উপত্যকতায় বৃষ্টির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে উল্লেখ করে কেন্দ্র বলছে, ওই পানি ঢল হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই নদীগুলোর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

অন্য দিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ ব্রহ্মপুত্র এবং মধ্যাঞ্চলে পদ্মা ও যমুনায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা নেই। আগস্টের শেষ দিকে ব্রহ্মপুত্রের উজানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ওই পানি দ্রুত বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম দিয়ে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে।

ফলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া–সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। ওই বন্যা সপ্তাহখানেক স্থায়ী হতে পারে।
কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে যেতে পারে। ফলে নীলফামারী, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা শুরু হতে পারে। সিলেট–ময়মনসিংহ বিভাগেও একই সময়ে স্বল্পস্থায়ী বন্যা হতে পারে। আর ব্রহ্মপুত্রের বন্যা শুরু হতে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

এদিকে আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দুই–তিন দিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে ৮৫ মিলিমিটার ও সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।