বায়ুদূষণ থেকে রক্ষায় অ্যালার্ট পদ্ধতি চালুর নির্দেশ

বায়ু দূষণঅলংকরণ: আরাফাত করিম

বায়ুর মানমাত্রা অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালে তা থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় নির্দেশনা-সংবলিত অ্যালার্ট পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

বায়ুদূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) একটি রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে কয়েক দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দেন।

নির্দেশনায় বায়ুদূষণের বড় উৎসের পাশাপাশি সবচেয়ে দূষিত এলাকা চিহ্নিত করে তার তালিকা এবং দূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিল করতে বলা হয়। উপযুক্ত স্থানে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) বসানো এবং বিপজ্জনক অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষায় অ্যালার্ট পদ্ধতি চালু করতে বলা হয়।

২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে গত মাসে বেলা সম্পূরক আবেদনটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

আদালতের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় ওই সম্পূরক আবেদন করা হয় বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং চলতি বছরের জানুয়ারির অধিকাংশ দিনে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও জনসাধারণকে রক্ষায় আদালতের নির্দেশ ও বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার বিধি অনুযায়ী কোনো ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। মূলত এই দিক সামনে রেখেই সম্পূরক আবেদনটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া নির্দেশগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।