আজ ঢাকার বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে

প্রথম আলো ফাইল ছবি

টানা কয়েক দিন ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু থাকলেও আজ রাজধানীর বায়ুর মান অপেক্ষাকৃত ভালো। আজ মঙ্গলবার বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ২৪তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার স্কোর ৮৪। বায়ুর এ মান মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। গতকাল সোমবার ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়, স্কোর ছিল ১৭৭।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল কোনো বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টিতে সাধারণত বাতাসের মান ভালো হয়। এর মধ্যে আবার জাতীয় ছুটি থাকার কারণে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল কম। অনেক কলকারখানাও বন্ধ আছে।
আইকিউএয়ার সম্প্রতি ২০২৩ সালের বিশ্বের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বায়ুদূষণে গত বছর শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। আর রাজধানী শহর হিসেবে ঢাকার স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। শীর্ষে ছিল ভারতের নয়াদিল্লি।

আজ সকালে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের নয়াদিল্লি। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৯২ ও ১৮৭।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ৫ গুণের বেশি।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর কেউ বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা মানুষেরা। তাঁদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।