আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদসচিব নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশের নদী অববাহিকার ৭১ শতাংশ প্লাবনভূমি রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যার পূর্বাভাস দিতে পারলে প্রাণ এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। আর এ জন্য দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উন্নততর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স কার্লসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে আইডব্লিউএমের প্রকল্পের টিম লিডার আবু সালেহ খান স্বাগত বক্তব্য দেন। বন্যা ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক তরুণ কান্তি মজুমদার বাংলাদেশের বর্ধিত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ পরিষেবার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।

কর্মশালাটি ‘ঢাকা সিটি বন্যা পূর্বাভাস মডেল’ এবং ‘আন্তর্জাতিক বন্যাপ্রবাহ পূর্বাভাস মডেল’ উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে। এই শহুরে বন্যা পূর্বাভাসব্যবস্থা শহরের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে দেবে, ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাশ্রয় করবে, পরিষেবাব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমবে। কর্মশালায় জানানো হয় যে ঢাকা শহরের জন্য ব্যাপক বন্যা পূর্বাভাসব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ হতে চলেছে।

আইডব্লিউএমের উপনির্বাহী পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কর্মশালা শেষ হয়।