যমুনা নদী যাঁরা ছোট করার চিন্তা করছেন, তাঁরা নির্বোধ

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা
ছবি: প্রথম আলো

উন্নয়নের নামে যাঁরা যমুনা নদীকে ছোট করার চিন্তা করছেন, তাঁরা নির্বোধ। যাঁদের মাথা থেকে এসব চিন্তা আসে, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কোনো যুক্তিতেই যমুনা নদীকে সংকুচিত করার সুযোগ নেই।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারটি আয়োজন করে যৌথভাবে ওয়াটার রাইটস ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বেলা।

এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বুয়েটের অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডলসহ অন্যরা।

মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীকে ছোট করার উদ্যোগ নিয়েছে। কেন আপনারা যমুনাকে ছোট করতে চান? নদী ধ্বংস করে অর্থনীতি হতে পারে? যাঁরা এসব চিন্তা করেন, তাঁরা নির্বোধ। তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

নদী নিয়ে সরকারের যেসব সংস্থা কাজ করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার তাগিদ দেন মুজিবুর রহমান।

বেলার রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এত বছর পর এসে এখন আমাদের শুনতে হচ্ছে, যমুনা নদী এত চওড়ার প্রয়োজন নেই। নদীকে ছোট করতে হবে। এ নদী কৃষক, জেলে, গ্রামীণ মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়। কয়েকজন প্রকৌশলী বলে দিলেন, এ নদী ছোট করতে হবে। এটা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান।’

শাহজাহান মণ্ডল বলেন, যমুনা নদীকে সংকুচিত করার চিন্তা অবান্তর। এটা করা হলে বর্ষার সময়ে যে পরিমাণ পানি আসবে, তা কোনদিকে যাবে? তিনি অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বড় প্রকল্পের দিকে নজর দিচ্ছে। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে নদী রক্ষা করবে। অথচ তারা নদীকে ছোট করার পরিকল্পনা করছে। বিষয়টি পুনরায় চিন্তা করার পরামর্শ দেন তিনি।