উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

রংপুরে বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে । সেই বৃষ্টিতে দুরন্তপনায় মেতে ওঠে কিশোরীর দল।১১ জুন, উত্তম বানিয়া পাড়া,রংপুর
ছবি: মঈনুল ইসলাম

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়, ৩০ মিলিমিটার। আজ রাত ও শনিবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম, অর্থাৎ উপকূলীয় অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।

আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ বিকেলে ঢাকার আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। যদিও সারা দেশের আকাশই আজ দিনের বেলা মেঘলা ছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান।
দুপুর ১২টার মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে দেশের আরও কয়েকটি এলাকায়ও। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়, ৩০ মিলিমিটার।

এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২৫ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ২২ ও ভোলা ১৮ মিলিমিটার। অল্পস্বল্প বৃষ্টি হয়েছে খেপুপাড়া (১৪ মিলিমিটার), টাঙ্গাইল (১০ মিলিমিটার), রংপুর (৯ মিলিমিটার), নিকলি (৪ মিলিমিটার), ময়মনসিংহ (৫ মিলিমিটার), কক্সবাজার (৪ মিলিমিটার), সৈয়দপুর ও তেঁতুলিয়ায় (৩ মিলিমিটার করে)।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সারা দেশে বিস্তার লাভ করেছে। উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

এই লঘুচাপের প্রভাবে আজ রাত ও শনিবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম, অর্থাৎ উপকূলীয় অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান।

এ ছাড়া রাতের তাপমাত্রা অপরবর্তিত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।