কেটে যাচ্ছে কুয়াশা, উষ্ণ হয়ে উঠছে আবহাওয়া

ফাইল ছবি

কুয়াশার আঁচল সরে যাচ্ছে। সকাল সকাল ঝলমলে মিঠে রোদ এসে আলো আর উষ্ণতায় ভরিয়ে দিচ্ছে চরাচর। তাতে কেটে যাচ্ছে শীতের জড়তা। আড়মোড়া ভেঙে কাজে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ। দিনের শুরু থেকেই কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছে সারা দেশ। শৈত্যপ্রবাহের খানিকটা রেশ রয়ে গেলেও ক্রমেই উষ্ণ হয়ে ওঠা প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে সামনেই বসন্ত দিন।

আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা এখন অনেকটা কমে এসেছে। আওতাও ছোট হয়ে এসেছে।

শুরুর দিকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অঞ্চল ছাড়া সারা দেশেই এর আওতায় ছিল।

এখন দেশের অল্প কিছু এলাকাতেই শৈত্যপ্রবাহের মৃদু প্রভাব বিরাজ করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ছোট হয়ে আসবে এর পরিধি, উষ্ণতাও বাড়বে। আজ বুধবার গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে দেশের গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, এ মৌসুমে আর বড় কোনো তীব্র মাত্রার শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। কুয়াশার ঘনত্বও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সূর্যের আলো আসবে। শীতের অনুভূতিও কমে আসবে। আবহাওয়ায় আপাতত বড় কোনো ব্যতিক্রমের লক্ষণ নেই।

আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড আবার উত্তরাঞ্চলে চলে গেছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বনিম্ন ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি। নিম্ন তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রি বেড়েছে। ওদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও আজ কক্সবাজারের টেকনাফে। তবে তা গতকালের তুলনায় ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেশি। এখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি, আজ ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও উভয় ক্ষেত্রেই বেড়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ ৩ ডিগ্রি বেড়ে তা উঠেছে ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে। আর নিচের দিকে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি বেড়ে আজ হয়েছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি; কাল ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ভোলা, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে যাবে।

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, এখানে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হলেও শীতের তীব্রতা তত বেশি অনুভূত হচ্ছে না। খুব সকাল থেকেই কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদ উঠেছে। গত রাত থেকে উত্তুরে হাওয়ার প্রবাহও অনেকটা কমে গেছে। বেশ উষ্ণ হয়ে উঠেছে পরিবেশ। দিনের শুরু থেকেই লোকজন তাঁদের স্বাভাবিক কাজকর্মে লেগে পড়েছেন। কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে জনপদে।