তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে, সর্বনিম্ন আবার শ্রীমঙ্গলে

হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বোরো আবাদ নিয়ে। ভোরে মাঠে কাজ করতে আসা বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসা সন্তানের অপেক্ষা। আজ যশোরের চুড়ামনকাটিতে
ছবি : এহসান-উদ-দৌলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার কাছে রেকর্ড হারিয়েছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গল। তবে তা ফিরে পেতে খুব বেশি সময়ক্ষেপণ করতে হয়নি। এক দিনের মধ্যেই ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবার শ্রীমঙ্গলে। আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে শ্রীমঙ্গলে, ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার তেঁতুলিয়ায় ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারা দেশেই গতকাল রাতে এবং আজ দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। উত্তরাঞ্চল ছাড়া দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই দিনের প্রথম ভাগেই কুয়াশার ঘোর ফিকে হয়ে এসেছে। সকাল ১০টার মধ্যেই কুয়াশার আড়াল সরিয়ে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ঝলমলে রোদের উষ্ণতায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে জনপদগুলোয়।

আবহাওয়া বিভাগের রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে সীতাকুণ্ডে, ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও সীতাকুণ্ড এবং ফেনী ও খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানী ঢাকাতেও তিন দিন ধরে তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্র গত রোববার ছিল ২২ ডিগ্রি, সোমবার ২৪ দশমিক ৬ আজ ২৬ ডিগ্রি। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি আর রোববার ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের আবহাওয়ার অবস্থা আগামী তিন দিনে খুব বেশি তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে প্রথম আলোকে জানালেন আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান। পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিরাজমান উপ মহাদেশীয় উচ্চচাপের বর্ধিত অংশের প্রভাব আমাদের দেশে তেমন পড়েনি। ফলে, আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা অনেকটাই কমে গেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে একটু শীত বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, এ বছর ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিত অংশের প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প এসেছিল। গত সপ্তাহে খুব সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে কিছুটা জলীয় বাষ্প বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরে পড়েছে। একটু বেশি বৃষ্টি হলে জলীয় বাষ্প অনেকটাই নেমে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। বাতাসে থাকা এই জলীয় বাষ্পের কারণেই ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। আর কুয়াশার চাদরে আকাশ ঢাকা থাকায় রোদ আসছে না। শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।

আমাদের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানান, আজ আবার তাপমাত্রা বেশ নেমে গেছে। তবে সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যেই কুয়াশা কেটে গেছে। দশটা নাগাদ রোদ এসে প্রকৃতিকে ছুঁয়ে দিয়েছে। এতে তাপমাত্রা নেমে গেলেও অতটা শীত অনুভূত হচ্ছে না। এলাকায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।