তিন-চার দিন পর কিছুটা কমতে পারে শীত

চারদিক কুয়াশায় ঢাকা। শীতের সকালে লাঙ্গল কাঁধে মাঠে যাচ্ছেন কৃষক। ষোলঘর, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, ২০ ডিসেম্বর
ছবি: আশরাফুল আলম

দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। তিন থেকে চার দিন পর অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ আজ রোববার এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ হলেও ঢাকায় হচ্ছে না। তবে এখানকার তাপমাত্রাও কমে গেছে। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। গতকাল শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে রাজারহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানায়, সকাল ৯টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেছে। তবে কুয়াশা পুরোপুরি কাটেনি। কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে। তিনি জানান, রাজারহাটের শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে। রবিশস্য ফলানো কিংবা ধানের জমি প্রস্তুতের কাজ থাকলেও লোকজন ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজে যেতে পারছেন না। নদীর পার ও চরাঞ্চল এলাকায় মানুষের বেশি কষ্ট হচ্ছে।