দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার নাম বারবার উঠে আসছে। ফাইল ছবি

আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকার বায়ু। আজ রোববার দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাইবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’–এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী আজ রোববার বেলা ১টা ১১ মিনিটের ঢাকায় বায়ু মানের সূচক ২৫১। যেখানে ভারতের রাজধানী দিল্লি বায়ু মানের সূচক ৩০৫ নিয়ে সবার ওপরে। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ শহরটির বায়ু মানের সূচক ২৩২, এরপর কলকাতার সূচক ২০০, করাচির ১৮০, কাজাখস্তানের নূর সুলতান ১৭৪, মুম্বাইয়ে ১৬৫, চীনের উহান ১৬৩, কাজাখস্তানের বিসকেক ১৬২, ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবের বায়ু মানের সূচক ১৫৭।

বায়ুদূষণ নিয়ে গবেষণ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস হচ্ছে ধুলাবালু। এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের জীবাণু সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ধূলিকণা মুখে গেলে মানুষ যত্রতত্র থুতু ও কফ ফেলে। তা ধুলার সঙ্গে মিশে হাতসহ নানা মাধ্যম দিয়ে মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে। এতে ওই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে।

বায়ুদূষণের কারণে ঢাকা শহরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাতাসে ভারী ধাতু ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা বেড়ে গেলে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায়, বুদ্ধিমত্তা কমে যায়।

দেশের বায়ুদূষণের অবস্থা একদিকে দিন দিন খারাপ হচ্ছে, অন্যদিকে বায়ুদূষণের উৎস দিন দিন বাড়ছে। বায়ুদূষণ রোধের মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। দূষণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে অধিদপ্তর; কিন্তু তা দূষণ কমাতে খুব বেশি কার্যকর হচ্ছে না। যানবাহনের দূষণ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে জানান পরিবেশকর্মীরা। আর দূষণের অন্যতম উৎস নির্মাণকাজের ধুলা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগও তেমন নেই।