দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ

ফাইল ছবি

দেশের পটুয়াখালী, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যেই সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোরের পর সোমবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে, ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে গেলে সে অবস্থাকে ‘তীব্র দাবদাহ’ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটি মৃদু তাপপ্রবাহ আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তিনি বলেন, বছরের এই সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি আছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। যে কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সিলেট, ময়মনসিংহে বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। সেখানে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর ময়মনসিংহে ৯ মিলিমিটার এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।