নভেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রথম আলো ফাইল ছবি

চলতি বছরের প্রায় প্রতিটি মাসই কমবেশি দুর্যোগপ্রবণ ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গেল অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি ছিল। সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপও ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে।

নভেম্বর মাসের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিও বেশি হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। শীতও নামতে থাকবে। নদী তীরবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়াও শুরু করবে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, নভেম্বর মাস এমনিতেই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত সময়। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগর এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে আছে। ফলে এই মাসে বেশি মেঘ সৃষ্টি হবে। বৃষ্টিও বেশি হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে কিছুটা সরে গেছে। ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে যে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, তা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা বিভাগের দু–একটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য এলাকাগুলো শুষ্ক থাকতে পারে।

সোমবার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ২১২ মিলিমিটার।