পটুয়াখালীতে ৬ ঘণ্টায় ১১০ মি.মি. বৃষ্টি, নৌযান চলাচল বন্ধ

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পটুয়াখালীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের সদর রোড এলাকায়
প্রথম আলো

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বুধবার সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। কখনো হালকা, কখনো মুষলধারে চলতে থাকে। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে লঘুচাপের কারণে নদ-নদীর পানিও জোয়ারের সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও নদীর পানিতে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীর সমুদ্রবন্দরকে ৩নং সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে ২নং সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ নৌপথে ছোট-বড় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। কখনো হালকা, কখনো ভারী বৃষ্টি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি মুষলধারে বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। শহরের রুপালী সিনেমা সড়কের গলি, নতুন বাজার মাছ পট্টি, কাটপট্টি, নবাবপাড়া, মহিলা কলেজ সড়ক এলাকা, জুবিলি স্কুল সড়কে পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা খুব একটা চোখে পড়েনি। এতে শহরমুখী মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পথচারী ও যানবাহন চলাচল কমে যায়। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে।

পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, নদী বন্দরে ২নং সতর্ক সংকেত রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ওয়ালেস সুপারভাইজার মাহাবুবা খুশী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।