পারদ উঠছে, সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের হাসিমুখ

ফাইল ছবি

তাপমাত্রার পারদ উঠছে। শ্রীমঙ্গল, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট ও চুয়াডাঙ্গা—এই চারটি জায়গা ছাড়া দেশের সবখানে আজ শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা উঠে গেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সর্বোচ্চ মাত্রা ৩০-এর কোঠা পেরিয়ে ৩১ দশমিক ৫ হয়েছে সীতাকুণ্ডে। সূর্যের ঝলমলে হাসিমুখ দেখা যাচ্ছে দিনের শুরুতেই। রোদের পরশে উষ্ণতা ফিরে পেয়েছে প্রাণ ও প্রকৃতি।

রোদ ওঠায় শীতের অনুভূতি আর প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে না। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কোথাও ১০-এর কম থাকলে সেই স্থানটি শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে বলে ধরা হয়। আজ শ্রীমঙ্গল ছাড়া পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২, খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা যা-ই থাক, গায়ে কাঁপুনি দেওয়ার মতো শীত আর নেই।

শ্রীমঙ্গল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানালেন, সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও তেমন শীত লাগছে না। গত রাতে বেশ উষ্ণই ছিল পরিবেশ। ভোর থেকেই আকাশ পরিষ্কার। উত্তুরে বাতাসের ঝাপটাও নেই। রোদের কিরণে বেশ গরম-গরম বোধ হচ্ছে। শীত বিদায় নিতে চলেছে, তা বেশ স্পষ্ট।

দিনের তাপমাত্রার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজও সারা দেশে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানালেন, মাঝরাতের পর থেকে দেশের খুব অল্প কয়েকটি এলাকায় এখন শীত বাড়ছে। তবে এসব এলাকাও দু-এক দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ থেকে বেরিয়ে আসবে। যশোরসহ পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চলে কাল শনিবার বা পরশু রোববার আকাশ একটু মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

সামনেই বসন্ত। তবে আবহাওয়ার পঞ্জিকায় ঋতুরাজের অস্তিত্ব নেই। আবহাওয়ার পঞ্জিকায় ঋতু চারটি। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রি-মনসুন বা প্রাক-বর্ষা, জুন থেকে সেপ্টেম্বর অবধি মনসুন বা বর্ষা, অক্টোবর ও নভেম্বর পোস্ট-মনসুন বা বর্ষা-পরবর্তী এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি হলো শীত। তবে আবহাওয়ার পঞ্জিকায় যা-ই থাক, হাওয়া কিন্তু ঠিকই ঘুরে যাবে। আবদুর রহমান খান জানালেন, শীতে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে হাওয়ার প্রবাহ থাকে, ফেব্রুয়ারির মাঝ নাগাদ তার দিক পরিবর্তন হতে থাকে। হাওয়া ঘুরে গিয়ে বইতে থাকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে। এই দক্ষিণ-পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহই কাব্যে-সাহিত্যে ‘দক্ষিণা সমীরণ’ বলে প্রভূত খ্যাতিমান।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ তো প্রায় পেরিয়েই গেল। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ঘুরে যাবে হাওয়া। গেয়ে উঠবে বসন্তের কোকিল।