ভারী বৃষ্টির বিপদ আপাতত কেটেছে

ফাইল ছবি

ভারী বৃষ্টির বিপদ আপাতত কেটে গেছে। গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে এখন গাজীপুরে একটি স্থল লঘুচাপ হয়ে অবস্থান করছে। ফলে আকাশ মেঘলা থাকবে, থেমে থেমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ সারা দিন বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে মৌসুমি বায়ুও বিদায় নিয়েছে। আপাতত এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে বৃষ্টিপাতের তেমন আশঙ্কা নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির দাপট ধীরে ধীরে কমে আসবে।

তবে আকাশে মেঘ-বৃষ্টির বিপদ কেটে গেলেও নদীতে পানি বেড়েছে। বিশেষ করে সিলেটের উজানে ভারতীয় অংশে এখন বৃষ্টি হচ্ছে। সেখান থেকে ওই বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে দেশের অভিন্ন নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এসব নদ–নদীর পানি এরই মধ্যে দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেবে বলা হয়েছে, চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শিলিগুড়িতেও প্রায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে খুব বেশি ভয়ের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সংস্থাটি বলছে, এই সময়ে নদীর পানি বেশ খানিকটা কম থাকায় উজানের ঢলে বড় বন্যার আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দু–এক দিন সিলেট ও কুমিল্লা-ফেনী জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়বে। এতে এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে ৫২টির পানি বাড়ছে আর কমছে ৪৫টির। বাকিগুলোর পানি স্থিতিশীল আছে।

আরও পড়ুন

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে সিলেট ও কুমিল্লার দিকে কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে পারে। তবে তা দ্রুত নেমে যাবে। আপাতত কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই।

আবহাওয়া দপ্তর হিসেবে গতকাল দিবাগত রাত থেকে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে মাত্র ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি। আর দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুরে ১৬৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া হাতিয়াতে ১৩০ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১০৪, সীতাকুণ্ডে ১০১ ও কুমিল্লায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।