ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৈশ্বিক ‘ক্লাইমেট কানেকশন’ ক্যাম্পেইন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন–কপ২৬ সামনে রেখে ‘ক্লাইমেট কানেকশন: কনভারসেশন ফর চেঞ্জ’ শিরোনামে বিশ্বব্যাপী একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ জুন এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনলাইন অনুষ্ঠানে জলবায়ু–সংকট নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। অনলাইন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কপ২৬ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ডেসিগনেট অলোক শর্মা, ব্রিটিশ লেখক নিল গেইম্যান ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং।
অলোক শর্মা তাঁর বাংলাদেশ সফর চলাকালে ব্রিটিশ কাউন্সিল নেটওয়ার্কের পাঁচজন জলবায়ুবিষয়ক সক্রিয় কর্মীর সঙ্গে একটি সেশনে অংশ নেন।

অলোক শর্মা বলেন, ‘পরিবর্তনের প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হিসেবে ক্লাইমেট অ্যাকশনে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই আমি বাংলাদেশের তরুণ ও তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা শুনে খুবই খুশি হয়েছি। আগামী ১০ বছর গুরুত্বপূর্ণ সময়। জলবায়ু পরিবর্তন–সংকট সমাধানের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে একটি ভালো অবস্থানে রেখে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ক্লাইমেট কানেকশন ক্যাম্পেইন বিশ্বের সব স্তরের মানুষকে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে।’

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সপ্তাহে শুরু হয়ে ক্লাইমেট কানেকশন ক্যাম্পেইনটি আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় কপ২৬ সম্মেলন পর্যন্ত চলবে। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনার সুযোগ তৈরি, শিল্প ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রদর্শনী, উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রদান, অর্থায়ন, গবেষণা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করা হবে।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জি-২০ দেশসহ বিশ্বের ৩৬টি দেশের ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সের ৪০ হাজার তরুণ নিয়ে পরিচালিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনকে তারা এখন বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যা বলে মনে করছেন।

অনলাইন অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইন্টেরিম চিফ এক্সিকিউটিভ কেট এওয়ার্ট-বিগস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বের সব মানুষকে একতাবদ্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে সহায়তা করতে পেরে ব্রিটিশ কাউন্সিল গর্বিত। ক্লাইমেট কানেকশন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে আমরা আমাদের শিক্ষা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের দক্ষতাকে কাজে লাগাব।’

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রকল্প জমা দেওয়াসহ তরুণদের সহায়তা প্রদান করতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নেতা ও সক্রিয় কর্মী তৈরি করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে সহায়তা প্রদান করে।’

বাংলাদেশে ক্লাইমেট কানেকশন ক্যাম্পেইনের যে প্রকল্পগুলো কাজ করবে, সেগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তনে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষণা, জলবায়ু নিয়ে তরুণদের সামাজিক উদ্যোগবিষয়ক প্রকল্পে অনুদান, শ্রেণিকক্ষে পরিবেশবান্ধব পাঠ্য উপকরণ অন্তর্ভুক্তির ওপর জোরদান, শিল্প ও জলবায়ুবিষয়ক সৃজনশীল কাজের সুযোগ তৈরি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রদের জন্য আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি। যেখানে তাঁরা জলবায়ুবিষয়ক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি