মধ্যরাতের ঘন কুয়াশা থাকবে তিন দিন

ঘন কুয়াশা
ফাইল ছবি

এখন মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পড়ছে কুয়াশা। আগামী তিন দিনও এভাবেই রাতের তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকবে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব কথা জানিয়েছে। অধিদপ্তরের পরবর্তী তিন দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে শেষার্ধে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ভোর থেকে আবার একটু একটু করে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে সেতু এলাকায় যানবাহনের ধীরগতির কারণে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ঢাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে বাতাসের গতি ছিল ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। গতকাল সোমবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৭ ডিসেম্বরের আগে আবহাওয়ায় খুব বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কয়দিন বৃষ্টি থাকবে না। প্রতিদিন শেষ রাতের দিকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা। তিনি বলেন, নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে পারে। এ কারণেই সেতুতে ও নদীতে কুয়াশা থাকার কারণে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে। পরে রাত ২টার দিকে সেতুর ওপর দিয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে অল্প কিছু সময়ের জন্য একটি করে গাড়ি সেতু পার হয়। কিন্তু কুয়াশার কারণে আধা ঘণ্টা পর আবারও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে আজ ভোরে আবার যান চলাচল শুরু হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে সেতুতে যান চলছে। সেতুর পশ্চিম অংশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন রয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে গতকাল রাতে কুয়াশা মাপার রিক্টার স্কেল ৪০ শতাংশে এসে পড়ে। সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ এলেও যান চলে। এ জন্য সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর থেমে থেমে যান চলছিল। আবার বন্ধও ছিল। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। তিনি বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। গাড়ি ধীরগতিতে এগোচ্ছে।