মহাবিপন্ন বনরুইটি লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রাঙ্গিছড়া জাপানি পুঞ্জি থেকে উদ্ধার করে আনা মহাবিপন্ন বনরুইটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রাণীটি অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএএফ) রেজাউল করিম, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, বন্য প্রাণী রক্ষায় শ্রীমঙ্গলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক ও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থউনাউজাম, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার কাজল হাজরা।
এর আগে গত বুধবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রাঙ্গিছড়া জাপানি পুঞ্জি থেকে বন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফ, র্যাব, পুলিশ ও পরিবেশকর্মীদের সহযোগিতায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাণীটিকে পুঞ্জির পাহাড়ি ছড়া থেকে বাড়িতে এনে রেখেছিলেন এক লোক।
বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব প্রথম আলোকে বলেন, ইংরেজিতে এই প্রাণীটিকে চায়নিজ পেনগলিন বলা হয়। বনরুই একধরনের স্তন্যপায়ী সরীসৃপ বন্য প্রাণী। রুই মাছের মতো সারা শরীরে আঁশ থাকায় এটি ‘বনরুই’ নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) ‘লাল তালিকা’ অনুযায়ী বনরুই পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন প্রাণী।
বনরুই গহিন বনে ১০-১৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ করে বসবাস করে। এরা নিশাচর ও লাজুক প্রকৃতির। গভীর রাতে খাবারের খোঁজে সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে বেরোয়। আবার ভোরের আগেই সুড়ঙ্গে ঢুকে যায়। পিঁপড়া, পিঁপড়ার ডিম ও উইপোকা বনরুইয়ের প্রধান খাবার। বনরুই বছরে একবার বাচ্চা দেয়। এর পায়ের নখ ও পাতা খুবই শক্তিশালী। এরা রাতে দ্রুত চলাচল করতে পারে।