সাগর উত্তাল, সেন্টমার্টিনে আটকা শতাধিক পর্যটক

বঙ্গোপসাগর
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূল উত্তাল হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। এ কারণে মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। এতে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত  প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ খবর রাখতে স্থানীয় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, রোববার সকালে কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং টেকনাফ থেকে কয়েকটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। ওই দিন বিকেলে জাহাজ ও ট্রলারে করে ৯০ জনের বেশি পর্যটক টেকনাফ ও কক্সবাজার ফিরে যান। রাতযাপনের জন্য সেন্টমার্টিনে থেকে যান শতাধিক পর্যটক। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তবে সবাই নিরাপদে আছেন।

সেন্টমার্টিন ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হাবিব খান বলেন, বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জোয়ারের ধাক্কায় দ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম পাশের সৈকতের বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারের তোড়ে সোমবার রাতে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকের জেটিঘাটে নোঙর করে রাখা চারটি মাছ ধরার ট্রলার ও যাত্রীবাহী একটি কাঠের বোট ডুবে গেছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এই নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। সাগর শান্ত হলে টেকনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনবে।