চট্টগ্রাম–৮ উপনির্বাচনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি দুই প্রার্থীর

উপনির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ। আজ বিকেলে বোয়ালখালী সদরে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ। একই দাবি করেছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. কামাল পাশাও।

আবদুস সামাদ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ছয়টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা তিনি করেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমকে কলুষিত করেছেন। তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করছেন।

বেলা তিনটার দিকে বোয়ালখালীর গোমদণ্ডির এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে আবদুস সামাদ এ দাবি জানান। এ সময় তিনি সকাল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া ছয়টি লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন। তাতে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়ার তালিকা, বাটন টিপে দেওয়ার অভিযোগসহ নানা বিষয় রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুস সামাদ বলেন, ‘কিছু নেতা ও পাতিনেতা এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচনী ব্যবস্থা ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছেন। সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও তাঁদের কারণে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল না। তাঁরা ইভিএমের বাটন টিপে দিয়েছেন। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলন করে উপনির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা। আজ বিকেলে বোয়ালখালী সদরে
ছবি: প্রথম আলো

মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সামাদ আরও বলেন, ‘শহরের কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশ। বোয়ালখালীতে বড়জোর ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর বেশি যদি ভোট দেখানো হয়, তাহলে ইভিএম ব্যবস্থার কারসাজিতে হবে।’

সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে দাবি করে আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমরা এই ভোটের ফল স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছি।’ তবে নির্বাচন বর্জন না করে তাঁরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন

এরপর একই স্থানে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. কামাল পাশা সংবাদ সম্মেলন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।

আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের একজন দাঁড়িয়ে থেকে বাটন টিপে দিয়েছেন। এটা নির্বাচন পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন