বাঁশখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক
সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকে কেন বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

১২ নভেম্বর এ নোটিশ দেওয়া হলেও বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানাজানি হয়।

নোটিশে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কেউ কিছু জানাতে পারেননি।

আরও পড়ুন

৬ নভেম্বর বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে ‘বিএনপি–জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যবিরোধী’ ব্যানারে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকি দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি এলে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

মুজিবুল হক চৌধুরী এমন বক্তব্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভায়। ১০ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১২ নভেম্বর মুজিবুল হককে কারণ দর্শানো এ নোটিশ দেন চট্টগ্রামে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক রাকিব হাসান।

আরও পড়ুন

নোটিশে বলা হয়, ‘আপনার এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হানিকর ও এতে বহির্বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯–এর (৩৪) ৪ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কার্যালয়ে জানানোর অনুরোধ করা হলো।’

মুজিবুল এ নোটিশের জবাব দিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কেউ কিছু জানাতে পারেননি। স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালত রাকিব হাসান এখন দায়িত্বে নেই। তাঁর জায়গায় উপপরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন লুৎফুন নাহার।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে লুৎফুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। (মুজিবুল) নোটিশের জবাব দিয়েছেন কি না, জানি না। আমি হাতেও পাইনি। তারপরও খুঁজে দেখব।’

নোটিশের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত মুজিবুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। তবে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন