বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রেজা আলী
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের রেজা ভাই, বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনশিল্পের কিংবদন্তিসম রেজা আলী। চলে গেছেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। রেজা ভাইয়ের বিটপীতে আমি যখন কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তখন আমার বয়স ২১-২২। একুশে টেলিভিশন সবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তখনো একুশে আমাদের বেতন দিচ্ছে, তিন মাস দেবে! কিছুটা দিগ্‌ভ্রান্ত দশায় আর সবকিছু শিখে ফেলার নেশায় আমি ডেইলি স্টার পত্রিকার শেষের পাতার বিজ্ঞাপন দেখে ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন শিখতে বিটপীর এক কর্মশালায় চলে গেলাম।

তিন দিনের কর্মশালার শেষের দিন জানতে পারি, আমাকে ওঁরা রেখে দেবেন সাব্যস্ত করেছেন। জানলাম, আমি সোশ্যাল কমিউনিকেশন করব। রেজা ভাইয়ের বিটপীই সেই আমাদের শৈশবে স্যালাইনের বিজ্ঞাপন বানিয়েছে; ‘আধা সের পানি, এক মুঠ গুড়, এক চিমটি লবণ, তারপর ঘুটা’, যে প্রণালি সারা বাংলাদেশ মুখস্থ করে ফেলেছিল ওই বিজ্ঞাপন দেখে।

আর এই বিটপীই ‘বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন’ স্লোগান মাথায় ঢুকিয়ে বলে দিয়েছিল, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ কিনা বুদ্ধিমান মানুষের লক্ষণ! এহেন বিটপীতে, এমন ওস্তাদের দলে, সোশ্যাল কমিউনিকেশন করব—কী সৌভাগ্য আমার! আমার তত দিনে একুশে টিভির ‘দেশজুড়ে’ করার সুবাদে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, চর কুকরিমুকরি থেকে সুন্দরবন—সব এলাকা চষে ফেলা শেষ। কিছুদিন পরেই বুঝলাম, আমার এই দেশভ্রমণ আর বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে আসার অভিজ্ঞতাই বিটপীর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা সোশ্যাল কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রথম সদস্য হিসেবে আমার চাকরি পাওয়ার একটা কারণ হবে বোধ হয়।

২.

বিটপীতে কাজ শুরু করেই টের পেলাম আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে অনেক বেশি দেশলগ্ন, ভূমিলগ্ন আর সংস্কৃতিঘনিষ্ঠ থাকার সাধ আর জেদ। রেজা ভাই ১৯৬৮ সালে যখন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপী প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৮। আর বিটপীতে সেই ২০০২-০৩ সালের ওই সময়টায় এখন হিসাব করে বুঝি রেজা ভাইয়ের বয়স ছিল ষাটের কিছু বেশি আর তাঁর কন্যা সারাহ আলীসহ কর্মী বাহিনীর প্রায় সবার বয়স তিরিশের নিচে। আমাদের চেয়ে বয়সে খানিকটা বড়, প্রবল তরুণ, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর অরূপদা আমাদের নিয়ম করে বিরাট বিরাট খাতা খুলে এর আগের কয়েক দশকে বিটপীর আলোড়ন তোলা, ঐতিহাসিক সব কাজ দেখান। আমরা ২০ থেকে ৩০–এর তরুণ–তরুণীরা দিনরাত ‘মায়া বড়ি খেলে হবে মায়াঘেরা সংসার’—এমন লক্ষ্যভেদী আর অব্যর্থ পঙ্‌ক্তি রচনায় মাথা ঠুকে মরি।

কিমু আপু (বিটপীর বর্তমান এমডি সারাহ আলী), অরূপদার সঙ্গে তখন আমাদের সোশ্যাল কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রায় সব বৈঠকে রেজা ভাই নিয়মিত যোগ দেন। ওই সব বৈঠকেই দেখতাম আমরা যখন আধুনিক বিজ্ঞাপনী সংস্থার রীতি মেনে টার্গেট অডিয়েন্স ভাগ করে তাদের মনোভাব (ইনসাইট) ধারণা করে নিয়ে কোন বার্তা তাদের জন্য উপযুক্ত, তা তুলে ধরছি, রেজা ভাই প্রশ্ন করছেন, ‘আপনারে কে বলল?’ ‘আপনে কেমনে জানলেন?’ ‘আলাপ করছিলেন তাদের সঙ্গে?’ কার্যকর যোগাযোগের সবচেয়ে বড় শক্তি যে এর সমাজ আর জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে জানা, এটাই যে এই কাজের মূল সততা বা অথেনটিসিটি, তা খুব সহজাতভাবে কোনো ব্যাকরণ ছাড়াই চর্চা করতে আর ছড়িয়ে দিতে পারতেন রেজা ভাই।

কাজেই ঢাকায় বা ঢাকার বাইরে গিয়ে মানুষের মন বুঝে আসা, দূর মহাসড়কে বিলবোর্ড লাগানোর আগে আমরা যে ছবি এঁকেছি, তা সেখানকার আশপাশের গ্রামের মানুষ দেখে কী বুঝতে পারছে বা আমরা ওই বিলবোর্ডে যত বার্তা দিতে চেয়েছি, তার কতটুকু ওই পথে যাতায়াতকারী মানুষ আসা–যাওয়ার পথে আসলেই পড়তে পারছে এবং পারলে তাতে কী বুঝতে পারছে, তা ক্রমাগত মাঠে গিয়ে পরখ করে দেখে তবেই কেবল রেজা ভাইয়ের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেত!

আরও পড়ুন

‘রেজা আলী ছিল জীবনের প্রতিভূ’

৩.

বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মী হিসেবে আমাদের একটা বড় কাজ দেশের সেরা শিল্পী, সাহিত্যিকদের জড়ো করা এবং সেরা মানের শিল্পসম্মত কাজ জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা—সেটা রেজা ভাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। আমার মনে আছে, কমিক চরিত্র দাঁড় করিয়ে পুরো ক্যাম্পেইনের জন্য নানা রকম কমিক স্ট্রিপ তৈরি করে দিতে পারবেন—এমন একজন শিল্পীকে চারদিকে খোঁজ করার মধ্যে কাকতালীয়ভাবে এক কর্মশালায় গিয়ে তখন ২০-২১ বছরের সদ্য তরুণ সব্যসাচী মিস্ত্রীকে আমি খুঁজে পাওয়ায় রেজা ভাই কী ভীষণ খুশি হয়েছিলেন! সব্য একে স্বভাব শিল্পী, ফরমায়েশি কাজ করতে চান না আর তার ওপর ওই বয়সে ডেডলাইনের চাপ সইতে না পেরে প্রায়ই উধাও হয়ে যান। কিন্তু আমাদের রেজা ভাইয়ের তো এসবে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা! তাঁর কাছেই শিখে রাত দুইটা-তিনটায় হানা দিতাম শিল্পী সব্যসাচীর বাড়িতে। ওর মা প্রথম দিন চমকে উঠলেও পরে মনে হতো বেশ মজা পাচ্ছেন শিল্পী ছেলের কাছে শিল্পের পাওনাদারদের হানা দেওয়ার ঘটনায়!

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল কখনো ধারাবাহিক নাটক লেখেননি অথচ শিশু–কিশোরদের কাছে তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তার বিচারে আমরা ইউনিসেফকে বলে দিয়েছি, তিনি আমাদের জন্য বহু পর্বের রেডিও ধারাবাহিক লিখবেন! রেজা ভাই তাঁর অব্যর্থ দিকনির্দেশনা দিলেন, ‘যান, গিয়া বইসা থাকেন। বোঝান।’ রেজা ভাইয়ের এসব সমস্যা সমাধানকারী পরামর্শে এমন এক অনিবার্যতা থাকত যে আমরা বুঝতাম ওই ছবি বা ওই লেখা না নিয়ে ঘরে (এ ক্ষেত্রে বিটপীতে) ফেরা যাবে না।

কাজেই শুধুই সাহস আর আত্মবিশ্বাসে ভর করে তখন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নাম–পরিচয়হীন আমি গিয়ে সত্যি সত্যিই জাফর ইকবাল স্যারের বাসায় বসে থাকা শুরু করি। স্যার কবে সিলেট থেকে ঢাকা আসেন, নানা সূত্রে সেই খবর নিয়ে তাঁর ঢাকার বাড়িতে যাই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি, চা–নাশতা খাই। স্যারকে বোঝাই, কেন তাঁর না লিখে কোনো উপায় নেই—আবার বসে থাকি। এভাবেই স্যারকে দিয়ে শুকনো ফুল রঙিন ফুল নামের ২৬ পর্বের রেডিও ধারাবাহিক লেখানো হয়। পরে তা টেলিভিশন নাটকও হয়। আর এই বসে থাকতে থাকতে জাফর ইকবাল স্যার আর ইয়াসমীন ম্যাডামের অপার স্নেহ আর আশকারার বাঁধনে বাঁধা পড়ি আমি।

আরও পড়ুন

প্রবীণ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী রেজা আলী আর নেই

৪.

একটা বিশেষ ঘটনা খুব মনে পড়ে। বাংলাদেশের ব্র্যাক তখন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে কাজ করতে যাবে। তাদের কাজ সম্পর্কে সবাইকে জানাতে, ব্র্যাককে আফগানিস্তানে পরিচিত করতে তারা তখন বিজ্ঞাপনী সংস্থা খুঁজছিল। আমরা সত্যিকার অর্থেই দিনরাত এক করে কাজ করছিলাম নানা আইডিয়া তৈরি করে সে কাজটি বিটপীর দায়িত্বে আনতে।

মনে আছে, রেজা ভাই আর অরূপদা আফগানিস্তানকে বুঝতে তখন কাবুল চলে গেলেন। কয়েক দিনের সফর শেষে ফিরে এলেন আমাদের জন্য তন্দুর রুটির মতো দেখতে এক রুটি নিয়ে। রাস্তাঘাটে সর্বত্র নাকি সেই রুটি বিক্রি হয়। রেজা ভাই আমাদের বললেন, এই রুটি খেয়ে দেখলে হয়তো আমরা এমন শুকনো আর কিছুটা শক্ত রুটি খেয়ে যারা জীবন কাটায়, তাদের মনটা কেমন হতে পারে, তার কিছুটা আঁচ করতে পারব!

যাদের জন্য ‘কমিউনিকেশন’ বা ‘যোগাযোগ’, তাদের মন বোঝাকে রেজা আলী সব সময় সবচেয়ে কার্যকর কৌশল বলে মেনেছেন। যোগাযোগ কৌশলের নানা তত্ত্বের ভিড়ে আমার এখনো পর্যন্ত রেজা ভাইয়ের জিজ্ঞাস্য, ‘আপনে জানলেন ক্যামনে’, ‘আপনারে কে বলল’ আর ‘শুইনা আসেন’কেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।

৫.

বিটপীতে দিনরাত কাজ করেছি বটে কিন্তু এর মধ্যেই প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েছি, পরীক্ষার পড়া তৈরির ছুটি পেয়েছি আর অনার্স পরীক্ষাও দিয়েছি। আজকাল কাজের জায়গায় তৃপ্তি পেতে ফ্লেক্সি–টাইমিংয়ের উপকারিতা নিয়ে খুব কথা হয়। ২০-২২ বছর আগে তখন জানতামও না যে বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে যে এটা কত দরকার! দুনিয়াতেও তখনো এসব কনসেপ্ট কি খুব জোরেশোরে স্বীকৃত বা সমাদৃত হচ্ছিল? কিন্তু বিটপীতে তখন থেকেই এই বিশ্বাস বা ভরসা এই সদ্য ২০–এর ছেলেমেয়েদের ওপর ছিল—যে যার সময়ে কাজ করবে, কাজ ঠিক ঠিক সময়ে নামিয়ে দেবে। কিন্তু তার সময়ে, তার মনের আনন্দে, তার সিদ্ধান্তেই করবে। বিটপীতে মনের আনন্দের একটা বড় কারণ এই আধুনিক কর্মসংস্কৃতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়োগ বলে মনে হতো আমার।

আসলে বিটপীর কাজের পরিবেশটা যুগের তুলনায় অনেক অগ্রসর আর অবারিত ছিল। বিটপীতে কাজ শুরু করামাত্র সে খোলা হাওয়া আমাকে বিপুল আনন্দে স্পর্শ করেছিল! এর আগে পত্রিকায়, টেলিভিশনের অফিসে বা মাঠে—যেখানে কাজ করেছি, সদ্য কৈশোর পেরোনো আমি ক্রমাগত পুরুষ হয়ে উঠতে চেয়েছি। মনে হয়েছে, চুল আরও ছোট করে ফেললে, আরও এলোমেলো চললে বোধ হয় কেউ আর আমাকে মেয়ে ভাববে না এবং আমি আরও সহজে সাংবাদিকতার কাজটা করে উঠতে পারব। কেউ যে আমাকে তেমন বলছিল তা নয়।

কিন্তু নব্বই দশকের শেষ আর একুশ শতকের শুরুর ওই সময়টা মিডিয়ায় তখনো মাঠেঘাটে বা রাতের নিউজ ডেস্কে মেয়েদের পুরো মেনে নিতে পারেনি হয়তো, কাজেই আমার এমনতর পেশায় মেয়ে হওয়া নিয়ে একটা অস্বস্তি ছিল। রেজা ভাইয়ের বিটপীতে এসে প্রথম টের পেলাম, ২০-২১ বছর বয়স হওয়া, মেয়ে হওয়া, ছেলে হওয়া, গুলশান কি গুলিস্তান বাড়ি হওয়া, ইংলিশ মিডিয়াম কি মফস্‌সলের স্কুলে পড়ে আসা—কোনোটাই কোনো বিষয় নয়!

সবাই এখানে নিজের মতো থেকে, নিজের মতো করে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মাততে পারে। এখানে কেউ কাউকে কিছুতে বিচার করছে না! বিটপী এক লহমায় সমাজের এটা–ওটা বিচার করা, বিভেদ করা চোখ থেকে মুক্ত এক খোলা প্রাঙ্গণে নিয়ে আসতে পারত তার কর্মী বাহিনীকে। আসলে বিচিত্র ভাবনা, বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি আর চর্চার মানুষ একত্র হয়ে সাবলীলভাবে তার ধারণার প্রকাশ ঘটাতে না পারলে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা কীভাবে সম্ভব!

৬.

আমি বিটপী ছেড়ে আসার পর গত দুই দশকে রেজা ভাইয়ের সঙ্গে বছরে, দুই বছরে, পাঁচ বছরে যখন যেখানে দেখা হয়েছে, রেজা ভাই কখনো জিজ্ঞেস করতে ভোলেননি যেখানে কাজ করছি ভালো লাগছে কি না! ‘ভাল্লাগতেসে?’ প্রশ্নবোধক এই মন্তব্য করে জবাবের অপেক্ষা না করে রেজা ভাই সব সময় বলেছেন, ‘আপনে চইলা আসেন’! বলেই রেজা ভাইও হেসেছেন, আমিও হেসেছি।

আমি তাই আমার জীবনের অর্ধেক সময় ধরে জেনে এসেছি, যেদিন এই জগৎ–সংসারের কিচ্ছু আমার ভালো লাগবে না, আমি রেজা ভাইয়ের কাছে, বিটপীতে ‘চইলা যাইতে’ পারব। আমাদের রেজা ভাই নেতা ছিলেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের এই
তরুণ নেতা।

সে সময় বেশ কয়েক বছর জেল খাটার পর ১৯৬৮ সালে যখন তিনি তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিটপী গড়ে তুলেছিলেন, তখনো সেই সহজাত নেতাই থেকে গিয়েছিলেন। আর তাই, একবার যে বিটপীতে কাজ করেছেন, তিনি সারা জীবন মনেপ্রাণে বিটপীর থেকে গেছেন, রেজা ভাইয়ের দলেই থেকে গেছেন। প্রজন্মান্তরে অন্যান্য দেশে, ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে এক বিটপী কর্মী আরেকজনকে খুঁজে নিয়ে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিয়েছেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের এমন আজীবনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা শুধু একজন নেতার পক্ষেই সম্ভব। রেজা ভাই তাই বস ছিলেন না, মালিক ছিলেন না, আমাদের নেতাও ছিলেন।

*লেখক: নবনীতা চৌধুরী, বিটপীর প্রাক্তন কর্মী ও ব্র্যাকের পরিচালক