রাবিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক-শিবির নেতা আটক শিরোনামে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড

প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ভুয়া ফটোকার্ডছবি: রিউমর স্ক্যানার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাতটি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে গত ১২ জানুয়ারি পোড়া কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে প্রথম আলোর নামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভুয়া ফটোকার্ডে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় ফরিদ নামের এক সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবির নেতাকে আটক করা হয়েছে। তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য এই কাজ করেছেন।

বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ বুধবার রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় এখনো জানা যায়নি, তা ছাড়া উল্লিখিত দাবি-সংবলিত কোনো ফটোকার্ড প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়, এটিতে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এটি প্রকাশের দিন হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। এমন দাবির সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু উল্লিখিত শিরোনামে প্রচারিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

তবে কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ৪ ফেব্রুয়ারি ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে গ্রেপ্তার ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, রাবিতে কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে মো. ফেরদৌস রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানায়। প্রাথমিকভাবে তাঁর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।