অধ্যাপক তাহের হত্যা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামির পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যদের আপিল বিভাগ আজ রোববার শুনানি নিয়ে ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র, পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে মহিউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান নিজের শারীরিক অসুস্থতার জন্য সময়ের আরজি জানান। এরপর জাহাঙ্গীরের পক্ষে আইনজীবী এস এন গোস্বামী শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তাঁর ছেলে মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।