জুলাই সনদ পাস হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামোয় পরিবর্তন আসতে পারে: শিশির মনির

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেছবি: প্রথম আলো

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখায় আছে, সর্বশেষ সাবেক প্রধান বিচারপতি সরকারপ্রধান হবেন। যেহেতু এটি আগামী সংসদ থেকে কার্যকর হবে, তাই জুলাই সনদ পাস হলে সরকারের কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মামলার রায়ের পরে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে এ কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আরও পড়ুন

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে আনা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ১৪ বছর আগে দেওয়া রায় পুরোটাই বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর ও এ-সংক্রান্ত রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানাবলি ভবিষ্যৎ প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতেই কার্যকর হবে বলে রায়ে এসেছে।

শিশির মনির বলেন, জুলাই সনদ চারটি অপশন দিয়ে গণভোটে পাঠানো হচ্ছে। এই চার অপশন গণভোটে পাস হলে এবং নতুন সংসদের সংবিধান সংস্কার সভায় গৃহীত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এটা নির্ভর করবে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হলো কি না, আর পাস হওয়ার পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ তা গ্রহণ করবে কি না তার ওপর।

আরও পড়ুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চতুর্দশ সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে কার্যকর হবে জানিয়ে শিশির মনির বলেন, রায়ে বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এই বিধান আপাতত কার্যকর হবে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটি কার্যকর হবে না। এটি ভবিষ্যতে কার্যকর হবে।

এই আইনজীবী বলেন, আজকের রায়ে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে অতীতে দেওয়া রায় কলঙ্কিত ছিল।

রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, ৪১ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরাকারের প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অনেক জল ঘোলা হয়েছে, অসম্মান হয়েছে, অনেক মানুষের প্রাণ গেছে, গুম–খুনের শিকার হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন, ৪১ বছর পরে আবার সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। জামায়াত সে সময়ই বলেছিল—গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একটি থেকে আরেকটিকে আলাদা করা যাবে না।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন