মাদক, চোরাচালানে মামলা কম

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান বন্ধ করা। কিন্তু এই আইনে মামলা খুবই কম। 

  • দেশে-বিদেশে মুদ্রা পাচারে মানি লন্ডারিং মামলা ১৫

  • মাদক ব্যবসায় মামলা ২০

  • স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা

  • মানব পাচারের মামলা

  • সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলা

মানি লন্ডারিং
প্রতীকী ছবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ জোগান ও চোরাচালান বন্ধ করা। অথচ এসব অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হয়েছে খুবই কম। যদিও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে মাদক ব্যবসা ও মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। এতে বলা হচ্ছে, এসব অপরাধমূলক কাজে দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

চারটি তদন্ত সংস্থার ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আইনটি সম্পর্কে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জানাশোনা কম। তাঁদের সেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালান, মুদ্রা পাচার কিংবা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হচ্ছে না।

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা তদন্তে যে ধরনের দক্ষতা দরকার, সেটার ঘাটতি আছে। এই অপরাধ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। মানি লন্ডারিংয়ে সঙ্গে জড়িত বড় প্রভাবশালীদের ধরার ক্ষমতা এসব তদন্ত কর্মকর্তার নেই।
ইফতেখারুজ্জামান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক
আরও পড়ুন

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে গত ২০ বছরে মানি লন্ডারিংয়ের ৭৫২টি মামলার তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হয়েছে মাত্র ২০টি। স্বর্ণ চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে ৮টি, মুদ্রা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ১৫টি এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রণীত জাতীয় কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, অবস্থানগত কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান, মানব পাচারের মতো মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। মাদক কেনাবেচায় লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

মাদকের মামলা হয়, মানি লন্ডারিংয়ে নয়

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২০ বছরে তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১ লাখ ৮৮ হাজার মামলা করেছে। অথচ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে মাত্র তিনটি। একটি ঢাকায়, অন্য দুটি চট্টগ্রামে। আর ঢাকার সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন খাতার মতে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানায় ২০১৭ সাল থেকে গত বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ছয় বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮০ হাজার ৬৯৬ মামলা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম কম মামলা হওয়ার কথা মেনে নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তবে আমরা বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছি।’

এসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ লেনদেন হয় হুন্ডিতে। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয় কম। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলেও কিছু মানি লন্ডারিং হয়।
ইব্রাহীম হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির আর্থিক অপরাধ বিভাগের তৎকালীন পরিদর্শক
আরও পড়ুন

মামলার তথ্য বলছে, মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত চট্টগ্রামের জাহেদুল ইসলাম ২০১৫ সালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান। তাঁর ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি টাকার খোঁজ মেলে। জাহেদুলের মৃত্যুর তিন বছর পর তিনিসহ তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়।

এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তের ওপর সংস্থার মাত্র তিন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ রয়েছে। এ কারণে মামলাও কম হচ্ছে।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার একটি বস্তির মাদক ব্যবসায়ী রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাঁর ব্যাংক হিসাবে পাওয়া গেছে ২১ কোটি টাকা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কক্সবাজারে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরও ১৭টি মামলা করেছে। তবে অভিযোগ আছে, মাদক মামলার আসামিদের বেশির ভাগই বাহক। এই ব্যবসায় জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন

চোরাচালানের মামলা মাত্র ১২

২০ বছরে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মাত্র ১২টি করেছে। অথচ গত তিন বছরে এই অভিযোগে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৩৭টি মামলা হয়েছে। একই সময়ে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে মাত্র চারটি।

২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাংককগামী রিজেন্ট এয়ার থেকে খন্দকার মো. মিঠু নামের এক যাত্রী আটক হন। তাঁর ব্যাগ থেকে ডলার, পাউন্ডসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তাঁর বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় সিআইডির অভিযোগপত্র বলছে, চক্রটি শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা পাচার করছিল।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অনেক গভীরে যেতে হয়। চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছাড়া এমন মামলার তদন্ত সম্ভব নয়।

মুদ্রা পাচারের মামলাও কম

তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির মাধ্যমে এখন মানি লন্ডারিং বেশি হচ্ছে। দেশ-বিদেশে শক্তিশালী হুন্ডি চক্র রয়েছে। এই চক্রের নেটওয়ার্ক শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত।

তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে গত এক দশকে মানি লন্ডারিং আইনে ১০টি মামলা হয়েছে। একই অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে ৫৫টি। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে সিআইডি ১৬ হুন্ডি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সাত বছর আগে সায়েদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) হিসাবে ২৮ কোটি টাকা জমার সন্ধান পায় সিআইডি। একই সময়ে ওই হিসাব থেকে তোলা হয় ১৪ কোটি টাকা। আর হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগে দুই বছর আগে সিআইডি কাজল রেখাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছিল। চক্রটি হুন্ডির মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা এনেছে। মামলা দুটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

মানব পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলায়ও একই চিত্র

পুলিশ সূত্র বলছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত মানব পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। অথচ মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে মাত্র ছয়টি।

সাত বছর আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা মাদারীপুরের শামীম নামের এক ব্যক্তিকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান। চক্রটি তাঁকেসহ আরও ২০ জনকে সেখানে আটকে রেখে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। চক্রের অন্যতম সদস্য আরিফুজ্জামান ও খতিজা বেগমের ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

মামলার অবস্থা

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির আর্থিক অপরাধ বিভাগের তৎকালীন পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ লেনদেন হয় হুন্ডিতে। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয় কম। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলেও কিছু মানি লন্ডারিং হয়। যেমন মানব পাচারের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুই বছর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম ওরফে পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।

সিআইডি এক প্রতিবেদনে আদালতকে জানায়, শহিদুল, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, শ্যালিকা ও এক কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে ৩৫৫ কোটি টাকা জমা হয়।

সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে চারটি মামলা হয়। এসব মামলায় ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট আসামি ১৯ জন। এমন একটি মামলা করা হয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তৎকালীন উপসহকারী প্রকৌশলী নাফিজ আহম্মেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া আবাসন খাতের দুই মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

বারবার তদন্ত সংস্থা বদল

 ২০০২ সালে মানি লন্ডারিং আইন পাসের পর বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা এসব মামলার তদন্ত করতে পারত। ২০০৮ সালে আইনটি বাতিল করে ওই বছরই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ জারি হয়। পরে ওই অধ্যাদেশ বাতিল করে ২০০৯ সালে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন হয়। তখন এই আইনে মামলার তদন্তের ক্ষমতা ছিল কেবল দুদকের। ২০১২ সালে আবার আইনটি বাতিল হয়। আবার ২০১৫ সালে আইনটি সংশোধন করে ২৭ ধরনের অপরাধকে এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেবল ঘুষ ও দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব থাকে দুদকের। বাকি ২৬ ধরনের অপরাধ তদন্তের ভার সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থাকে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি দুদক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশোধন চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে কিংবা হুন্ডিসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিদেশে মানি লন্ডারিংয়ের মামলার তদন্তের সক্ষমতা দুদকের নেই। চিঠিতে দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচার, শুল্ক ও করসংক্রান্ত অভিযোগসহ সাত ধরনের অপরাধের তদন্তের ক্ষমতা দুদককে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

তথ্যভান্ডার গড়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে

মানি লন্ডারিং অপরাধের তথ্য সংগ্রহের প্রাথমিক দায়িত্ব বিএফআইইউর। দেশের একমাত্র আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান তিন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকিং খাতসহ বেসরকারি আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) বেড়েছে। মানি লন্ডারিংয়ের আইনকানুন সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্মত প্রতিবেদন মেলে না। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া উন্নত বিশ্বের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর (এফআইইউ) মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যার বিএফআইইউকে দিতে হবে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে তৈরি জাতীয় কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং অপরাধের কেন্দ্রীয় কোনো তথ্যভান্ডার নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। দেশে-বিদেশে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে নিরপেক্ষ প্রসিকিউশন সার্ভিস। তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা তদন্তে যে ধরনের দক্ষতা দরকার, সেটার ঘাটতি আছে। এই অপরাধ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। মানি লন্ডারিংয়ে সঙ্গে জড়িত বড় প্রভাবশালীদের ধরার ক্ষমতা এসব তদন্ত কর্মকর্তার নেই।