নিহত আসামিকে পলাতক দেখানো তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

আলমগীর কবির ও দেলোয়ার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে দুই সন্ত্রাসীর তথ্য হালনাগাদ করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। এই দুজনের একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন, অন্যজন কারাবন্দী। তাঁদের পলাতক দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ওই কর্মকর্তা। পলাতক হিসেবে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

তদন্তকারী ওই কর্মকর্তার নাম কাজী এনায়েত কবির। বর্তমানে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোতে কর্মরত।

আজ রোববার বিকেলে প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ কামাল হোসেন শিকদার ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ডেকেছেন আদালত। আগামীকাল সোমবার আদালতে ওই কর্মকর্তার আসার কথা রয়েছে।

কামরুল হাসান বলেন, ১৭ বছর আগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক আসামিকে পলাতক দেখানো এবং ২০ বছর ধরে কারাগারে থাকা আরেক আসামিকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশোধন করে দেবেন। তিনি জানান, কারাগারে থাকা আসামির ঠিকানাও ভুল উল্লেখ করা হয়েছিল অভিযোগপত্রে।

পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, রোববার সকালে নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন। যাচাই–বাছাই করে প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বিচারক তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করে দুই আসামির তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ রোববার প্রথম আলোতে ‘এক আসামি কারাগারে, অন্যজন নিহত, সাজা হলো পলাতক হিসেবে’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর ২০ বছর ধরে কারাগারে বন্দী। আরেক সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ার ১৭ বছর আগে মারা যান ‘বন্দুকযুদ্ধে’। অথচ গত ৩১ মে চট্টগ্রাম আদালতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় দুজনের ২০ বছর করে সাজা হয় পলাতক হিসেবে। কারণ, পুলিশের খাতায় এখনো তাঁরা পলাতক।

আলমগীর ও দেলোয়ার চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী হিসেবে আলোচিত নাম। ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন খানের সহযোগী তাঁরা। দুই দশক আগের আলোচিত বহদ্দারহাটের আট খুন ও নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তাঁরা দুজন।