সাংবাদিকদের বিরোধিতার পরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছিল সরকার। সে আইন পরিবর্তন করে সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনেও সাংবাদিকদের পরামর্শের প্রতিফলন নেই। নতুন আইন দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। বিবৃতিতে ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো বিপজ্জনক ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছিল। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের আলোচনায়ও কিছু ধারাকে নিবর্তনমূলক হিসেবে উল্লেখ করে বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায়ও তাঁদের পক্ষ থেকে এ আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের পরামর্শের কোনো প্রতিফলন আইনে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন

সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী

ডিআরইউ বলেছে, অংশীজনদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নিবর্তনমূলক এবং স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা ও হুমকি হবে। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, সমাজের দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীরা এই আইন গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে, যা সাংবাদিকদের মুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করবে।

বিবৃতিতে অংশীজনদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন ডিআরইউর নেতারা। একই সঙ্গে এ আইনের বিপজ্জনক ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

একটি ধারা বাদ ও শব্দগত কিছু পরিবর্তন আসছে