র‌্যাবে সব সময়ই সংস্কার হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, র‌্যাবে (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) সব সময়ই সংস্কার হচ্ছে, আধুনিকায়ন হচ্ছে। যেটাই প্রয়োজন হচ্ছে, সেটাই করা হচ্ছে।

আজ রোববার একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। র‌্যাব সংস্কার করার প্রশ্নই ওঠে না উল্লেখ করে বাহিনীর নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের বক্তব্যের এক দিন পর মন্ত্রী এ কথা বললেন।

গতকাল শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছিলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে র‌্যাব সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না। কারণ, আমরা এমন কোনো কাজ করছি না, যাতে র‌্যাবকে সংস্কার করতে হবে।’

আরও পড়ুন

র‌্যাব মহাপরিচালকের (ডিজি) এ বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের (র‌্যাব সংস্কার) যে কথা বলছেন, আমরা সব সময় সংস্কার করছি। সব সময় আধুনিকায়ন করছি। যেটাই প্রয়োজন হচ্ছে, সেটাই করছি।’

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক অনুষ্ঠানে বলেন, জবাবদিহির আওতায় না আসা পর্যন্ত র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞাগুলো শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং আচরণ পরিবর্তন ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য।

বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স। র‌্যাবকে বিশেষ কিছু দায়িত্ব আমরা দিয়ে থাকি। র‌্যাব তার নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করে থাকে। আমাদের কাছে যে রিপোর্ট (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন) এসেছে, সেগুলো স্টাডি (পর্যালোচনা) করছি। যদি কারও ইনভলভমেন্ট (সম্পৃক্ততা) থাকে, সেগুলো আমরা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্র যে রিপোর্ট দিয়েছে, এগুলো চেক করে দেখছি। এগুলোতে ভুলভ্রান্তি থাকলে অবশ্যই দেখব।’

পুলিশ বা র‌্যাব সদস্যরা কোনো অপরাধ করলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জানা উচিত, এখন যাঁরা অন্যায় করছেন, র‌্যাব বা পুলিশ যে–ই হোক, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আজকে আপনারা জেলখানায় গিয়ে দেখেন, কত পুলিশ বা র‌্যাব সদস্য জেল খাটছেন। আমরা কিন্তু ছাড় দিচ্ছি না।’

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাব এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাবের সাবেক ডিজি হিসেবে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েন। আবার র‌্যাবের সদ্য সাবেক ডিজি ও বর্তমান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ওপরও একই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সম্প্রতি জাতিসংঘে পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান বেনজীর আহমেদ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে বেনজীর আহমেদসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।