শহিদুলসহ ইসরায়েলে বন্দী অধিকারকর্মীদের মুক্তি দাবি আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী নৌবহর থেকে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ ইসরায়েলি কারাগারে বিনা বিচারে বন্দী থাকা সবার মুক্তি দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বসহ তাঁর বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি এবং গণহত্যার সম্পূর্ণ অবসান চেয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের অরুন্ধতী রায়, যুক্তরাষ্ট্রের গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ব্রায়ান পালমার ও বিজয় প্রাসাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার মাইক ভ্যান গ্রান, নেপালের কনক মণি দীক্ষিত, যুক্তরাজ্যের সোফিয়া করিম, পাকিস্তানের সালিমা হাশমি, নরওয়ের স্ভারে পেদেরসন, জার্মানির রামি–হাবিব ইদ–সাব্বাগ, বাংলাদেশের সায়দিয়া গুলরুখ, শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, তাঁদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ‘কনশেনস’ জাহাজটি মাঝসমুদ্রে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলে আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক আজ জানিয়েছে, শহিদুল আলমসহ গাজা অভিমুখী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক অধিকারকর্মীদের একটি অংশকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
শহিদুল আলমের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গণহত্যাকারী ও বর্ণবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্র কর্তৃক আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে অবৈধভাবে অপহরণ করা কনশেনস জাহাজে থাকা ৯১ জন গণমাধ্যম ও চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ইসরায়েলি কারাগারে বিনা বিচারে আটক হাজারো ফিলিস্তিনির মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল সম্পূর্ণভাবে দায়মুক্তির সঙ্গে তার কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় নির্বিঘ্ন মানবিক প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) বাধ্যতামূলক নির্দেশ অমান্য করেছে দেশটি। একই সঙ্গে তারা বেসামরিক নৌ চলাচলকে সুরক্ষা দেওয়া আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করেছে এবং অবৈধ অবরোধ ও গণহত্যা বন্ধে বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে গাজা অভিমুখী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪২টি নৌযান থেকে ৪৭৯ জনকে আটক করে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। কয়েক ধাপে তাঁদের অধিকাংশকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল।