দেশে সড়ক দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকি এই ২১ জায়গায়

ইনফোগ্রাফিকস: মাহাফুজার রহমান

ব্যবসায়ী বিলু চৌধুরী গত জুনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তাঁকে ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেল। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বিলু চৌধুরীর মৃত্যু হয়।

বিলু চৌধুরী যেখানে আহত হয়েছিলেন, সেই জায়গায় নিয়মিতই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এটি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের একটি অংশ। শুধু এ অংশে নয়, শেরপুর উপজেলার উত্তরে দশমাইল এলাকা থেকে দক্ষিণে সীমাবাড়ি পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার মহাসড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ।

সরেজমিন গতকাল মঙ্গলবার দেখা যায়, সড়কটি দিয়ে দ্রুতগতিতে শত শত যানবাহন চলাচল করে। তবে রাস্তা পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। সড়কের দুই উপজেলার মহিলা কলেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। নানা কাজে প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে কয়েক শ মানুষ আসেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ পায়ে চালিত রিকশার যত্রতত্র চলাফেরা এই সড়কে।

শেরপুর পৌর শহরের ক্রীড়া সংগঠক আবদুল খালেক বলেন, ‘প্রতিদিন জীবন হাতে করে এই সড়ক ধরে আমাদের চলাচল করতে হয়।’

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরের এই জায়গার মতো দেশের ২১টি স্থান সড়ক দুর্ঘটনার অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল—এই পাঁচ বছরের ৩৭ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ২১ জায়গায় মোট সড়ক দুর্ঘটনার ১৪ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।

আরও পড়ুন
দুর্ঘটনায় অনেক পরিবার হারিয়েছে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। অনেক মা-বাবা সন্তানকে, সন্তানেরা মা-বাবাকে হারিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকে অঙ্গ হারাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।

দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি বাড়ছে। প্রাণহানি ও দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ে সরকারের হিসাবের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপাত্তের ভিন্নতা থাকলেও দুর্ঘটনা যে বাড়ছে, তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। দুর্ঘটনায় অনেক পরিবার হারিয়েছে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। অনেক মা-বাবা সন্তানকে, সন্তানেরা মা-বাবাকে হারিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকে অঙ্গ হারাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে সড়ক যেভাবে হয়েছে, সেভাবে হয়নি সড়কের ব্যবস্থাপনা। সড়কের উন্নয়ন হলেও পরিচালন কৌশল কী হবে, তা নিয়ে সরকারি স্তরে ভাবনার অভাব রয়েছে। তাই উন্নত সড়কে নছিমন, ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহনের ভিড়। তাতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এমন সময় কোন কোন এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি, তা জানা গেল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার স্থান নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই মানচিত্রায়ণ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সরকার কীভাবে তা করবে, সেটাই বিচার্য বিষয়।

আরও পড়ুন
এই মানচিত্রায়ণ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সরকার কীভাবে তা করবে, সেটাই বিচার্য বিষয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যাপক, বুয়েট

কেন এই গবেষণা, পদ্ধতি কী

গবেষণার কারণ প্রসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের কাছে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার একটি তালিকা ছিল। এটি ধরে এলাকাগুলো সংশোধন করে কিছু ফলও পাওয়া গেছে। কিন্তু দেশে নতুন নতুন সড়ক হয়েছে, যানবাহন বেড়েছে আর সেই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, এসব এলাকা সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা না থাকে, তবে দুর্ঘটনা কমবে না। দুর্ঘটনা রোধে স্থানভিত্তিক পদক্ষেপ জরুরি। আর সে জন্যই এ তালিকা করা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালে দেশে মোট ৩৭ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১৪টি জায়গায়। এসব জায়গায় তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টিকে অতি উচ্চ ঝুঁকি, ১৩৯টিকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা এবং ১৭৫টিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

অতি উচ্চ ঝুঁকির এলাকাগুলোর মধ্যে আছে রাজধানী ঢাকা ও ধামরাই, গাজীপুরের সদর উপজেলা, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মাদারীপুরের শিবচর ও টেকেরহাট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, চট্টগ্রামের মিরসরাই, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারে চকরিয়া, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, বরিশালের গৌরনদী, হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকা।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, গত পাঁচ বছরে দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২৫৬ জন। এর মধ্যে এই উচ্চ ঝুঁকির স্থানগুলোতে নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৯ জন।

আরও পড়ুন
দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি বাড়ছে। প্রাণহানি ও দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ে সরকারের হিসাবের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপাত্তের ভিন্নতা থাকলেও দুর্ঘটনা যে বাড়ছে, তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।

উচ্চ ঝুঁকির স্থানগুলোর অবস্থা

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দেশের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকির যে ২১ স্থানের উল্লেখ করেছে, এর মধ্যে আছে চট্টগ্রামের মিরসরাই। গত এক বছরে মিরসরাইয়ের সড়কে ৮২ দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে রাস্তার পাশে থামানো গাড়ির পেছনে অন্য গাড়ি ধাক্কা দেওয়ার কারণে।

মিরসরাই উপজেলার বড় দারোগারহাট থেকে ধুমঘাট সেতু পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তার দুই পাশজুড়ে নিজামপুর কলেজ এলাকা, বড়তাকিয়া ইউটার্ন, সুফিয়া রাস্তার মাথা এলাকা, সোনাপাহাড় বিশ্বরোড, বিএসআরএম গেট এলাকা, বালেরহাট পৌরবাজার দক্ষিণ ইউটার্ন ও বারইয়ারহাট পৌর বাজার এলাকা।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে সড়ক দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে চোখে ঘুম নিয়ে চালকের গাড়ি চালানো। বেশির ভাগ সময় ঢাকা বা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালিয়ে চালকেরা ভোরের দিকে মিরসরাই উপজেলা এলাকা অতিক্রম করেন। তখন তাঁদের শরীরে ক্লান্তি ও চোখে ঘুম থাকে। এ কারণে ভোররাতের দিকে মিরসরাই অংশে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া সড়কে অবৈধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল, অসতর্ক ও এলোমেলো রাস্তা পারাপার, গাড়ির দ্রুতগতি ও বর্ষায় সড়কে খানাখন্দ এ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন ওসি।

আরও পড়ুন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালে দেশে মোট ৩৭ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১৪টি জায়গায়। এসব জায়গায় তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টিকে অতি উচ্চ ঝুঁকি, ১৩৯টিকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা এবং ১৭৫টিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কেন এত দুর্ঘটনা

গবেষণায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। দেখা গেছে, এলাকার ভিন্নতায় দুর্ঘটনার কারণও ভিন্ন। এসব কারণের মধ্যে আছে, বড় সড়কে ছোট বা তিন চাকার যানের চলাচল, দুর্ঘটনার নতুন নতুন এলাকা সৃষ্টি, সড়কের পাশে হাট-বাজার ও বাসের টিকেট বিক্রয়কেন্দ্র বা কাউন্টারের অবস্থান।

বিআরটির হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা সাড়ে ৬৪ লাখ। বুয়েটের একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, নিবন্ধিত যানবাহনের বাইরে প্রায় ৭০ লাখ তিন চাকার ছোট যানবাহন সড়কে চলাচল করে। সরকার এসব যানবাহনকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করে। এসব যানের মধ্যে রয়েছে নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি, ইজিবাইক ও পাখি। এ ছাড়া আছে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত রিকশা।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৪৬টি। এতে নিহত হন ৪১৭ জন এবং আহত ৬৮২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশ তিন চাকার যানবাহন।

এদিকে দেশের কম দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য হলো, মেহেরপুর, নেত্রকোনা, নড়াইল, মাগুরার মতো জেলাগুলোতে ছয়–সাত বছর আগেও সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কম ছিল। সেগুলোতে এখন দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এটা হয়েছে কারণ, এসব এলাকায় নতুন নতুন সড়ক হয়েছে। কিন্তু সেখানে যত্রতত্র তিন চাকার যানের চলাচল কমেনি।

উচ্চ ঝুঁকির দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর এলাকা। কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় রাস্তার পাশে অসংখ্য পরিবহনের কাউন্টার। আশপাশে কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান আছে। গবেষণায় এখানকার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যত্রতত্র যানবাহন থেকে যাত্রী ওঠানো, একে গাড়িকে আরেক গাড়ির ধাক্কা—এসব কারণ উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, গত পাঁচ বছরে দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২৫৬ জন। এর মধ্যে এই উচ্চ ঝুঁকির স্থানগুলোতে নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৯ জন।

উন্নত সড়কে অনুন্নত যানবাহন ও পরিকল্পনা

দেশে দিন দিন নতুন সড়ক হলেও সেই সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নিরূপণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করেন দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দুর্ঘটনার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নিরূপণে ও দুর্ঘটনা রোধে সরকার কী করছে, জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার স্থান চিহ্নিত করার বিষয়টি আসলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ করে। তাদের কাছে নিশ্চয়ই আছে। বড় সড়কে ‘অনুন্নত’ যান চলছে, এটা পরিকল্পনার সময়ের গলদ, তা বলা যায়। তিনি বলেন, ‘এখন বাস্তবতা হলো ছোট যানগুলোকে আমাদের ধর্তব্যের মধ্যে নিতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। এ জন্য আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছি।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চেষ্টা করা হয়েছে।

বিভিন্ন সরকারের সময় সড়কে যতটা মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, ততটাই উপেক্ষিত থাকে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনের বিষয়টি—এমনটাই মনে করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সড়কে এক চরম দ্বান্দ্বিক অবস্থা দেখা যায়। এখানে অবকাঠামো বা সড়কটি তৈরি হচ্ছে উন্নত প্রকৌশল মেনে। কিন্তু এর পরিচালনব্যবস্থা কী হবে, তা নিয়ে কোনো নীতি নেই। উন্নত সড়কে চলছে একেবারে নিবন্ধনহীন ও অনুন্নত যান। এটা কীভাবে সম্ভব?’

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন প্রতিনিধি , শেরপুর (বগুড়া) এবং প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)।

আরও পড়ুন