ভাঙচুরের পর চমেকের একটি ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীদের অনেকে হল ছেড়ে যাচ্ছেন
ছবি: জুয়েল শীল

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনায় নাসিরাবাদে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) হাফিজুল্লাহ বশির ও লুৎফুস সালাম ছাত্রাবাস আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আজ বিকেলে নতুন করে কক্ষ ভাঙচুর ও হাতাহাতির পর চমেক কর্তৃপক্ষ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই ছাত্রাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার ছাত্রাবাসটির মেস চালানোর দায়িত্ব নিয়ে দুই পক্ষ প্রথমবার মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে আবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর আবার কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেন। পরে ছাত্রাবাস বন্ধের ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রাবাসটির তত্ত্বাবধায়ক চমেকের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে মেস ম্যানেজার নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় বুধবার। আজ আবার একই বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়। কিছু ভাঙচুরও হয়। তাই সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ছাত্ররা জানান, বিবদমান দুটি পক্ষের একটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অপর পক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী।

জানা গেছে, এত দিন আ জ ম নাছির পক্ষের অংশটি ছাত্রাবাসটির মেস চালাত। মূলত তাঁদের বেশির ভাগ চট্টগ্রামের বাইরের ছেলে। মাস শেষে ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের আলোচনা শুরু হয়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে মহিবুল হাসান চৌধুরীর পক্ষের অংশ মেসে খাবারদাবার নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে তা পরিবর্তনের দাবি জানায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বেধে যায়। একপর্যায়ে পরস্পরের দুটি কক্ষের বিছানাপত্র এবং আসবাব ভাঙচুর করা হয়।

২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় আকিব নামের একজনের মাথার খুলির হাড় ভেঙে যায়। ওই সময় এক মাসের বেশি সময় কলেজ বন্ধ ছিল।