খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় আছে: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে আইন উপদেষ্টা মনে করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় আছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ওনাকে (খালেদা জিয়া) একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের রায় ছিল, এটা যে সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা সর্বোচ্চ আদালতের আপিল ও রিভিউয়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, জিঘাংসা প্রসূতভাবে ওনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ওনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময়ে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, ওনাকে আমরা হয়তো...হারাতাম না।’

আরও পড়ুন

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং ওনার যে সরকার আছে অবশ্যই তার দায় রয়েছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সবাই লক্ষ্য করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে সব সময় খোঁজ খবর রেখেছেন। তাঁকে যদি আবার বিদেশে পাঠানোর মতো অবস্থা থাকত, অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হতো।

আরও পড়ুন