কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর স্বাধীন তদন্ত দাবি

লেখক মুশতাক আহমেদছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার স্বাধীন তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে ডিএসএ ভিকটিমস নেটওয়ার্ক। মুশতাক আহমেদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় নেটওয়ার্কটি।

বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠান ডিএসএ ভিকটিমস নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া। তাতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুসহ সব ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের’ অবিলম্বে স্বাধীন তদন্ত, স্বচ্ছ বিচার এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

২০২০ সালের মে মাসে লেখক মুশতাককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তিনিসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে র‍্যাব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। এই মামলায় মুশতাকের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তিনি মারা যান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সময় দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অরাজকতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের কলম ধরেছিলেন মুশতাক আহমেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিল সরকার। জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হওয়ার পর তিন বছর আগে কারাগারেই মারা যান তিনি। এ মৃত্যু কার্যত ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘নিপীড়নমূলক’ ধারাগুলো বহাল রেখেই সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিএসএ ভিকটিমস নেটওয়ার্ক। সংগঠনটি বলেছে, এ আইন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আইন পরিবর্তন করলেও সরকার আগের আইনের মামলাগুলো চলমান রেখেছে। অনেকে এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী। অনেকে জামিন পেলেও মামলার ঘানি টানছেন।

আরও পড়ুন