ক্রেতা চাইলেন মাংস, কিন্তু সঙ্গে কিনতে হলো দুধও

লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ কিনছেন ক্রেতারা। ১৯ মার্চ, নবাবগঞ্জ রোড, লালবাগ, ঢাকাছবি: প্রথম আলো

মো. সালাম এক কেজি গরুর মাংসের অর্ডার দিলেন। অর্ডার যিনি নিচ্ছিলেন, তিনি সঙ্গে দুধও লিখে দিলেন। কিন্তু সালাম বলছিলেন, তাঁর দুধ লাগবে না। শেষ পর্যন্ত তাঁকে দুধের একটি প্যাকেট নিতেই হলো।

রাজধানীর হাজারীবাগ সেকশন বটতলায় সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে পণ্য কিনছিলেন মো. সালামের মতো অনেকেই। তবে সবার চাহিদাই ছিল মাংসের দিকে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হচ্ছে রাজধানীর ২৫টি স্থানে। আজ মঙ্গলবার হাজারীবাগের সেকশন বটতলা এলাকায় ছিল পণ্য বিক্রির একটি ভ্যান।

সকাল ১০টায় শুরু হয় পণ্য বিক্রি। তবে খুব বড় লাইন ছিল না। পণ্য কিনতে কাউকেই গড়পড়তা ১০ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি।

আরও পড়ুন

জয়নাব বেগম হাজারীবাগেরই বাসিন্দা। এক স্বজনের বাসায় যাওয়ার পথে ভ্যান দেখে দাঁড়িয়ে যান।

তিনিও সেখান থেকে এক কেজি গরুর মাংস, এক ডজন ডিম ও এক লিটার দুধ নেন।

বাচ্চাকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে মুরগি, ডিম ও দুধ নিয়ে যান শামীম হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাজার থেকে কিছুটা কমে পাওয়া যায় বলে তিনি নিয়ে নিলেন।

এই ভ্যানের পণ্য ভালো কি না, সে আলোচনাও করেন লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ। একজন তো সরাসরি জিজ্ঞাসাই করলেন ক্যাশিয়ারকে, ‘খাসির মাংস বলে বকরির মাংস দেন কি না?’ ক্যাশিয়ার আশ্বস্ত করে একটি পরিচিত খামারের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘কোনো খারাপটা দেওয়া হয় না।’

বেলা ১১টায় শেষ হয়ে যায় মুরগি ও খাসির মাংস। এর আধা ঘণ্টা পর গরুর মাংসও। তখন মানুষের ভিড়ও কমতে থাকে। দু-একজন এসে উঁকি দিয়ে মাংসের খোঁজ করে চলে যান। কারও যদি দুধ ও ডিমের চাহিদা থাকে, তবে নিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন

আজ হাজারীবাগের এ ভ্যানে ৮০ কেজি গরুর মাংস, ৫ কেজি খাসির মাংস, মুরগি ৪০ কেজি, ডিম ২ হাজার ১০০টি ও দুধ ১৫০ লিটার ছিল। একজন সর্বোচ্চ এক কেজি করে গরু ও খাসি, দুই কেজি মুরগি, দুই কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি, দুই লিটার দুধ, দুই ডজন ডিম কিনতে পারছিলেন ভ্যান থেকে।

আজ যাঁরাই কিনতে এসেছেন প্রত্যেককেই দুধ কিনতে হবে বলে জানাচ্ছিলেন ক্যাশিয়ার ইয়াসিন আরাফাত। কারণ হিসেবে বলেন, দুধ আর ডিম তুলনামূলক কম বিক্রি হয়, বিশেষ করে দুধ। গতকাল সোমবার ইফতার পর্যন্ত দুধ নিয়ে বসেছিলেন তিনি। শেষ না করে যাওয়ার উপায় নেই। এক দিনের পণ্য বিক্রি হয় না আরেক দিন।

আরও পড়ুন