অবৈধ বিট বা খাটাল স্থাপন করছে অসাধুরা, বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তার স্বাক্ষর নকল করে অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জাল বা ভুয়া পত্র দিয়ে দেশের সীমান্ত এলাকায় অবৈধ বিট বা খাটাল স্থাপন করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। এ কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাধু বা প্রতারক চক্রের জাল বা ভুয়া চিঠি ইস্যুকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলা করা হয়েছে।

বিট বলতে বোঝায়, সীমান্ত পার হওয়ার পর গবাদিপশু যেখান দিয়ে আসে। আর খাটাল হলো গবাদিপশু আনার পর যেখানে রাখা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশীয় খামারিরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দেশের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে গোমাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন করছেন। এতে খামারিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ জন্য চোরাই পথে অবৈধভাবে গবাদিপশু দেশে প্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করা এবং দেশের সীমান্ত এলাকায় গবাদিপশুর বিট বা খাটাল স্থাপন কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুশাসন রয়েছে। কিন্তু জাল ও ভুয়া পত্র ইস্যু করে অবৈধ বিট বা খাটাল স্থাপন করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা হচ্ছে। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত কিছু জাল বা নকল পত্র জননিরাপত্তা বিভাগের দৃষ্টিতেও এসেছে। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত রয়েছে এবং তারা বিট বা খাটালসংক্রান্ত কোনো স্লিপ ইস্যু করেনি বলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাল।

আরও পড়ুন