নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৯ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেন এই আদেশ দিয়েছেন।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির কাছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণ সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে এনামুর রহমানকে।

বিচারকের আদেশে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে এই মর্মে আপনাকে লিখিত ব্যাখ্যা নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে যে, আপনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা বিভাগের অধীনে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নির্বাচনী এলাকা ১৯২ ঢাকা-১৯ এর একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা প্রদানের সময় বহু কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন। যা নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন মর্মে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন সংস্করণে এ খবর প্রকাশ করেছে।’

আরও পড়ুন

আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘ডেইলি স্টার অনলাইনে ভিডিও লিংকে দেখা যাচ্ছে আপনি হাজারখানেক কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেছেন এবং ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে নির্বাচনী প্রচার করেছেন, যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রজ্ঞাপনে জারিকৃত নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৮(খ) অনুচ্ছেদ এবং ১২ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে পরিলক্ষিত হচ্ছে।’

এমন অবস্থায় ‘আপনি কেন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন তৎমর্মে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১১ক এ (৫) (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

আরও পড়ুন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।