আটকে গেল নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জমিতে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ

বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবনফাইল ছবি প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় রেলস্টেশনের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট যে জমিতে বিপণিবিতান নির্মাণ করছে, তার দখল ও অবস্থানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পক্ষগুলোকে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ মে রুলসহ এ আদেশ দেন। ফলে এ সময়ে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।

ওই বিপণিবিতান নির্মাণ কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিটটি করেন।

জমিটি নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে। সাড়ে তিন বিঘার মতো আয়তনের সেই জমিতে মাল্টিমোডাল হাব (কেন্দ্র) নির্মাণের কথা। অর্থাৎ সেটি হওয়ার কথা রেল, নৌ ও সড়কপথে চলাচলের একটি কেন্দ্র।

আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও এম ফেরদৌস আল বসির শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজাওয়ার।

আদেশের বিষয় জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, যে জায়গায় রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট বিপণিবিতান নির্মাণ করছে, সেই জায়গার অবস্থান ও দখলের ওপর পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাল্টিমোডাল হাব (কেন্দ্র) নির্মাণের জন্য স্থানটি নির্বাচন করা হয়েছে। ভবনের নকশার অনুমোদন না নিয়ে ইতিমধ্যে রেলওয়ের ওই জমিতে বিপণিবিতান নির্মাণ করছিল কল্যাণ ট্রাস্ট। স্থিতাবস্থার আদেশের ফলে বিপণিবিতান নির্মাণ করা যাবে না।

এর আগে ‘সব আপত্তি উপেক্ষা করে রেলওয়ের সেই জমিতে বিপণিবিতান’ শিরোনামে গত ৯ মে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য প্রকল্প নিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি জমি নির্ধারণ করা আছে অনেক বছর আগে থেকে। কিন্তু মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনায় না নিয়ে সেই জমিতে বিপণিবিতান তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট।

আরও পড়ুন

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে এই জমি মাল্টিমোডাল পরিবহন হাব নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা আছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ)। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায়ও (আরএসটিপি, ২০২২-৩৫) একই প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরকে সংযুক্ত করতে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল সেতু নির্মাণ প্রকল্পে সড়ক প্রশস্ত করতে রেলওয়ের ওই জমির কিছু অংশ অধিগ্রহণ করার কথা।