আওয়ামী লীগের মামলা নিয়েছে পুলিশ, বিএনপির নেয়নি

চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে ব্যানার–ফেস্টুন ও পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে বিএনপির কর্মীরা লালখান বাজারে চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার বিকেলে
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম–১০ (পাহাড়তলী–হালিশহর–ডবলমুরিং) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা মামলা নিলেও বিএনপির মামলা নেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার মামলা করতে গিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানা থেকে ফিরে আসেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

এর আগে বুধবার রাতে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৬০০ নেতা–কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। নগরের খুলশী থানায় করা মামলা দুটির একটির বাদী আওয়ামী লীগের কর্মী আরিফুল ইসলাম। আরেকটির বাদী পুলিশ।

নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ব্যানারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আগামী রোববার তাঁরা আদালতে মামলা করবেন।

বুধবার নৌকার ওই কার্যালয়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নির্বাচনী কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। বিএনপির মামলা না নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার মতো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের কর্মীর বাদী হয়ে করা মামলায় নগর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ খান বাদী হয়ে করা মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

পুলিশের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা–হাঙ্গামা সৃষ্টি করে সড়কে যান চলাচলে বাধা দেন। তাঁরা পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেন। তাঁদের হামলায় খুলশী থানার পুলিশের এসআই জামাল উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজেশ বড়ুয়া, কনস্টেবল এনামুল হক ও মেজবাহ উদ্দিন আহত হন।

দুটি মামলা হওয়ার কথা স্বীকার করে খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।