সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে সরকার নির্বিকার: গণসংহতি আন্দোলন
নিরাপদ সড়কের জন্য তরুণদের বড় আন্দোলনের পরও সরকার নির্বিকার। প্রতিনিয়ত সড়কে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু কারও কোনো বিকার নেই। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও শক্তিশালী আইন থাকা দরকার। আজ শনিবার সকালে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সহসাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিম ট্রাকের চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি তোলা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটনে ইস্টার্ন টাওয়ারের সামনের সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল ও সৌভিক নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গণসংহতি আন্দোলন বলেছে, ট্রাকটি যদি ধাক্কা দেওয়ার পরই থেমে যেত তাহলে আরিফ ও সৌভিক হয়তো বেঁচে যেতেন। কিন্তু ট্রাকটি দ্রুত চালিয়ে তাঁদের পিষে দেয়। পরে পুলিশ বাদী মামলা করলেও এখনো পর্যন্ত ট্রাকটি শনাক্ত করা গেছে কি না বা চালককে আটক করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্যের বরাতে গণসংহতি আন্দোলন বলেছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৯৩৪ জন। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, নাজুক অবকাঠামো, চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, চালকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো ও অতিরিক্ত গতির মতো বিষয়গুলো।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও শক্তিশালী আইন থাকা দরকার বলে মনে করছে গণসংহতি আন্দোলন। তারা বলেছে, কিন্তু সে পথে না গিয়ে কোটারি স্বার্থে সহায়ক সড়ক আইন করে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করা হচ্ছে।
নিরাপদ সড়কের জন্য তরুণদের বড় আন্দোলনের পরেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। পরিস্থিতি দিনের পর দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার নির্বিকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইনের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।