আইপিএসে পক্ষ না নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা চীনের রাষ্ট্রদূতের

‘স্প্রিং ডায়ালগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
ছবি: ঢাকায় চীন দূতাবাস

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল বা আইপিএস শীর্ষক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই উদ্যোগে বাংলাদেশের কোনো পক্ষ না নেওয়ার প্রশংসা করেছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের এ নীতি ‘যথেষ্ট ভালো’।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চীন দূতাবাস আয়োজিত ‘স্প্রিং ডায়ালগ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত এমন মন্তব্য করেন।

মার্কিন উদ্যোগ আইপিএস বিষয়ে চীনের অস্বস্তি আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ আইপিএসের প্রেক্ষাপটে নিজদের অবস্থান তুলে ধরার কথা ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এর প্রেক্ষাপট দেখি। আইপিএসের বিষয়ে আমরা সতর্ক। কারণ, এর প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, এর মধ্যে অকাস ও কোয়াডও আছে। এসব উদ্যোগের সবকটিই সুনির্দিষ্ট কিছু দেশের মধ্যে সীমিত। এগুলোর কোনোটিই অংশগ্রহণমূলক নয়; বরং তা গোষ্ঠীভিত্তিক।’

আরও পড়ুন

এসব উদ্যোগে প্রতিরক্ষার উপাদান রয়েছে মন্তব্য করে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘এখন হচ্ছে শান্তি ও উন্নয়নের যুগ। এ সময়েও অস্ট্রেলিয়ার কেন ছয়টি পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রয়োজন হলো? এসব নিয়ে শুধু চীন নয় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশীরাও উদ্বিগ্ন। এই উদ্যোগ শুধু চার দেশের জন্য। তাঁদের লক্ষ্য কি আমরা সেটা জানি।’

আরও পড়ুন

সন্দেহ জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই কৌশল যদি শান্তির উদ্দেশ্যে, আস্থা বাড়ানোর জন্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য হয়, চীন তা স্বাগত জানাবে। যদি সেটা না হয়ে অনাস্থা বাড়ায়, তাহলে এতে সংঘাত বাড়বে। আর এটা হলে চীন এসব উদ্যোগে সমর্থন দেবে না। তবে আমরা কী হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশ সতর্ক। সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়। এখানে কোনো পক্ষ না নেওয়ার বাংলাদেশের নীতিটা যথেষ্ট ভালো। আমরা এই নীতির সমর্থন করি। আমরা চাইব যে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখে চলবে। নির্ভরতার নীতি নেবে না।’

আরও পড়ুন