আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার ভিত্তি নেই: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
ফাইল ছবি

আগামী মার্চে ভারত থেকে আদানি গ্রুপের উৎপাদিত বিদ্যুৎ আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার ভিত্তি নেই। প্রতিযোগিতামূলক বাজারদরেই এ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এপ্রিল মাসে।

আরও পড়ুন

গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের হিনডেনবার্গ রিসার্চের গবেষণায় গুজরাটি শিল্পগোষ্ঠী আদানিদের অস্বাভাবিক বাণিজ্যিক উত্থানের পেছনে জালিয়াতি ও শেয়ারবাজারে কারচুপির চিত্র তুলে ধরা হয়।  সেই প্রতিবেদনের কারণে এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে ধস নামে। আদানিদের বিভিন্ন শেয়ারের দাম হু হু করে পড়ে যায়।

আজকের সংবাদ সম্মেলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেচ ও গ্রীস্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বেশ কিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আরও পড়ুন

গ্যাসের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি নাকচ করে দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু হয়েছে। এতে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। খোলাবাজার থেকে আট কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন