‘গায়েবি’ মামলায় চট্টগ্রামে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী কারাগারে

প্রতীকী ছবি

‘গায়েবি’ মামলায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলমসহ দলটির ১৫ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

বিএনপির নেতাদের আইনজীবী ফোরকানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা ‘গায়েবি’ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৫ জুলাই পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মঈনুল আলমসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সবাই স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয় মামলায়।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের গিরি চৌধুরী বাজারের ময়লার স্তূপ। সেখানে ১৪ জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬০ থেকে ১৭০ নেতা-কর্মী সরকারের পদত্যাগ দাবি করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা স্থানীয় যুবলীগের এক নেতাকে দেখতে পেয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। পরে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টিনের ছোট চাপা কৌটা সদৃশ বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ তিনটি, বিস্ফোরিত কাচের বোতলের ভাঙা কিছু টুকরা, মার্বেলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করে।

মামলায় এসব অভিযোগ করা হলেও জব্দ তালিকার সাক্ষীরা এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ওই দিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদ আলম বলেন, এটি একটি গায়েবি মামলা।