মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কোনো আপস নয়

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অতীতে যেভাবে সোচ্চার ছিল, ভবিষতেও তেমনি থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ৭২-এর সংবিধান পুনপ্রবর্তন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নির্মূল কমিটি কোনো প্রকার আপস করবে না।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি বিষয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সংগঠনটি ওই সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৯১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাহী সভাপতি পদে কাজী মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আসিফ মুনীর, সহসভাপতি উত্তম কুমার বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি বল ও মারুফ রসূল নির্বাচিত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় কিন্তু আলামতের অভাবে তারা অনেক সময় সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটি গঠন করেছি, যাতে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যর্থতার কারণে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়।’

নির্মূল কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি বল বলেন, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটি কাজ করছে। আগামীতে জেলায় জেলায় আইন সহায়ক কমিটি তৃণমূল পর্যায়ে নির্যাতিত মানুষকে আইনি সহায়তা দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি শাহরিয়ার কবির, উপদেষ্টা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।

আরও পড়ুন