প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া, আইয়ুব খান, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রশ্নকর্তাকে আরেকটি এক–এগারো নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এটুকু বলতে পারি। ঘাবড়াবেন না, আমরা আছি না? কোনো চিন্তা নেই।’

প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই কেবল দায়ী নয়। আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা, মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটপাট এবং বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের ইনডেমনিটি—এমন অনেক কিছুই দায়ী। ডলার–সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন–জীবিকা আজ দুর্বিষহ। বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা নিয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বিগত বছরে ইনডেমনিটির সুযোগ নিয়ে যেসব কুইক রেন্টাল হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লুটেছে, তাদের ওপর ৫০ শতাংশ ‘উইন্ডফিল্ড ট্যাক্স’ আরোপ করা হবে কি না।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমাদের সংসদ সদস্য বিরোধী দলে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যেসব অভিযোগ তিনি এনেছেন, তা সম্পূর্ণ অমূলক। তিনি মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন। এই মেগা প্রকল্পের সুবিধাভোগী কারা? এ দেশের সাধারণ মানুষ। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আমরা করেছি। মেট্রোরেল, এটাও সাধারণ মানুষের যোগাযোগের জন্য। এটা সাধারণ মানুষ ভোগ করছে।’

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার ফেডারেল কোর্টের মামলার রায়েই বলা হয়েছে, সব অভিযোগ মিথ্যা।

কুইক রেন্টাল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো করার কারণে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখানে দুর্নীতি হলে এত বিদ্যুৎ দিতে পারার কথা ছিল না।