এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান কোথায়, কবে আসবে জানালেন ক্যাপ্টেন
জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ অবশেষে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ছেড়েছে। এই জাহাজে করেই ২৩ নাবিকের আগামী মে মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ ভোর চারটার দিকে জাহাজটি আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ছেড়ে যায়। বর্তমানে পারস্য উপসাগর রয়েছে জাহাজটি।
মিনা বন্দরে পণ্য বোঝাইয়ের সময় জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় প্রথম আলোকে জানান, জাহাজটি হরমুজ প্রণালি পেরিয়ে আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করবে। এরপর চট্টগ্রামে ফিরবে। চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে ১১ বা ১২ মে পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর কাছাকাছি মিনা বন্দরে নেওয়া হয় আবদুল্লাহকে। এই বন্দরে চুনাপাথর বোঝাই শেষে এখন চট্টগ্রামের পথে রয়েছে জাহাজটি।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল দস্যুরা। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপরই শুরু হয় দর-কষাকষি। দর-কষাকষি চূড়ান্ত হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। সোমালিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সোমালিয়ার দস্যুরা ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ পেয়ে জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে।