সমরাস্ত্রবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রসচিব

গ্রিসের কাভালা শহরে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের জন্য সমরাস্ত্র বহনকারী ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি গ্রিসের কাভালা শহরে কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে গ্রিস ও ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের একটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ সার্বিয়া থেকে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে শনিবার গ্রিসের কাভালা শহরে বিধ্বস্ত হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসের কাভালা শহরে যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য কেনা মর্টার শেল ছিল।

আরও পড়ুন

গ্রিসে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ধরনের সব মালামালে বিমা করা থাকে। ফলে সেদিক থেকে আমরা নিরাপদ রয়েছি। এটা কেন হয়েছে, সেগুলো হয়তো আরও পরে জানা যাবে। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ক্রয় করে থাকি। সুতরাং তারই অংশ হিসেবে সার্বিয়া থেকেও অস্ত্র কিনে থাকি। এটি একটি দুর্ঘটনা।’

এ বিষয়ে সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছি। এ ছাড়া ইতালিতে আমাদের যে রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, যিনি সার্বিয়ারও দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।’

রাশিয়ার সঙ্গে যখন ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে, এমন এক পরিস্থিতিতে কেন ইউক্রেনের উড়োজাহাজে পণ্য আনা হলো, বিশেষ করে যুদ্ধ শুরুর পরপর বাংলাদেশের একটি জাহাজ ইউক্রেনে হামলার শিকার হয়েছে—সে প্রশ্ন করা হয়েছিল পররাষ্ট্রসচিবকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা যদি দুর্ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা যেকোনো বিমানের হতে পারে। এটা হয়তো অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। সুতরাং যারা সরবরাহকারী, তাদের সঙ্গে কথা না বলে হয়তো বোঝা যাবে না।’

ওই দুর্ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘গ্রিসে আমাদের যে রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারব। এটি গ্রিস কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। আমার মনে হয় না গ্রিস আকাশসীমায় এ ধরনের কোনো সুযোগ রয়েছে।’

আরও পড়ুন