প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে: পিপি ফারুকী
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম আলো কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ আসামিকে এদিন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে শুনানির এক পর্যায়ে ওমর ফারুক ফারুকী এ কথা বলেন।
শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য পত্রিকা। এ পত্রিকা দুটির প্রচারসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিদেশিরা ডেইলি স্টার পত্রিকা পড়ে বাংলাদেশের খোঁজখবর রাখেন। সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া, জানমালের ক্ষতি করা, দুটো পত্রিকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং লুটপাট করায় বাংলাদেশের মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সারা পৃথিবীতেও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকে কেন্দ্র করে আসামিরা এ হামলা করেছে। হামলার ঘটনা দেখে আসামিদের কেউ কেউ সেটা অনলাইনে প্রচার করে। আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে হামলা করার জন্য একদল উসকানি দিয়েছে।
সরকারি এই কৌঁসুলি আরও বলেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজের লাইভ ও ধারণকৃত মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেন। মামলার ধারাগুলো জামিন অযোগ্য। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
এর আগে আদালতে শুনানির সময় ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন আসামির আইনজীবী তাদের জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সবাইকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
শুনানি শেষে সাংবাদিকেরা পিপির কাছে জানতে চান, এ ঘটনার পেছনে বিদেশে বসে উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, এটা মামলার প্রাথমিক পর্যায়। এ পর্যায়ে তাদের (১৫ জন) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে এটার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে, সেটা বেরিয়ে আসবে। কীভাবে ঘটনা ঘটল, সেটা জানতে পারবেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
মামলায় বিদেশে বসে উসকানিদাতাদের এখনো কেন আসামি করা হয়নি, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মাধ্যমে অন্য আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাবে। এ মামলার সঙ্গে জড়িত হলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।