‘কানা’, ‘খোঁড়া’ বলে ডাকা মানুষগুলোই এখন জনপ্রতিনিধি

হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন নাছিমা আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন নাছিমা আক্তার। দুই বছর বয়সে পোলিও হয়েছিল, তার পর থেকে নাছিমা হাঁটতে পারেন না। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি রংপুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হিসেবে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

মুঠোফোনে নাছিমা বললেন, ‘নির্বাচনের আগে একেকজন বলেছেন, নিজেই হাঁটতে পারে না, জয়ী হলে কাজ করবে কেমনে? আর এখন বলেন, ‘যাঁদের দুই পা ভালো, তাঁরা দেরি করে আসেন আর যাঁর দুই পা অকেজো, তিনি সবার আগে আসেন। যে ব্যক্তিরা আমাকে অবজ্ঞা করতেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে ওই মানুষগুলোকে বিভিন্ন সনদ, ভাতা পেতে সহায়তা করছি।’

অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী ১১ জন জনপ্রতিনিধিকে সম্মাননা জানায়
ছবি: সংগৃহীত

নাছিমা আক্তারের মতো নির্বাচিত ১১ জনপ্রতিনিধির কেউ চোখে দেখতে পান না, কেউ হাঁটতে পারেন না, কেউ খর্বকায়। নির্বাচিত হওয়ার আগে এসব মানুষকেই অন্যরা অবজ্ঞা করতেন। কেউ বলতেন ‘কানা’, আবার কেউ ‘খোঁড়া’। তবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর এখন সম্মান পাচ্ছেন বলেই জানালেন এসব জনপ্রতিনিধি।

অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছে। এ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মোট ১১ জন জনপ্রতিনিধিকে সম্মাননা জানানো হয়।

অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় এসব জনপ্রতিনিধি দৃশ্যমান হননি। রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী থেকে মোট ১১ জন জনপ্রতিনিধিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এতে তাঁরা অনুপ্রাণিত হবেন। একই সঙ্গে অন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও রাজনীতিতে আসার সাহস পাবেন।

এসব জনপ্রতিনিধিকে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে সহ-আয়োজক সংস্থা ছিল ডিজঅ্যাবলড চাইল্ড ফাউন্ডেশন, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ, সীতাকুণ্ড ফেডারেশন, টার্নিং পয়েন্ট ফাউন্ডেশন এবং উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। এতে আর্থিক সহায়তা করে ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস ফান্ড ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

আরও পড়ুন

‘জনগণ ভোট দিয়া আমারেই বিজয়ী বানাইছে’

এই ১১ জনপ্রতিনিধিদের একজন সামসুর নাহার। ছোটবেলা থেকেই এক চোখে দেখেন না সামসুর নাহার। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (৭, ৮, ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত সদস্য তিনি। বললেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ইন্টার পাস ছিল, বড় নেতার বউ ছিল। কিন্তু জনগণ ভোট দিয়া আমারেই বিজয়ী বানাইছে।’ গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি নির্বাচিত হন।

সামসুর নাহারের স্বামী এনামুল হক কাজ করতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পেয়েছিলেন। তার পর থেকে তেমন একটা কাজ করতে পারেন না। এই দম্পতির ১৬ বছর বয়সী ছেলেও দুই চোখে কম দেখে। ছোটবেলাতেই সামসুর নাহারের বাবা মারা গেছেন। মানুষের সহায়তায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং স্বামীর বয়স্ক ভাতা দিয়ে সংসার চলে না বলে বাঁশ ও বেতের জিনিস তৈরি, পাটি বানানো, সেলাই করে আয় করছেন সামসুর নাহার।

বেসরকারি সংস্থা ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন-ইপসায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সামসুর নাহার। ইপসার প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভাস্কর ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অস্বীকার না করে গ্রহণ করতে হবে। কাজের সুযোগ দিতে হবে। কাজের সুযোগ পেলে তখন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন। সামসুর নাহারের বেলাতেও একই কথা প্রযোজ্য।’

কারও সঙ্গী হুইলচেয়ার, আবার কেউ খর্বকায়

রংপুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নাছিমা আক্তার পরিবারে মা ছাড়া তেমন আর কাউকে পাশে পাননি। তিনি পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এখন জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া নাছিমা এখনো বিয়ে করেননি। ২০১২ সালে ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি দ্বিতীয় মেয়াদেও নির্বাচিত হয়ে (২০১৮ সাল পর্যন্ত) এ দায়িত্ব পালন করেন।
নাছিমা বললেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারে নিজের অবস্থানটাও শক্ত হয়েছে।

তৈয়ব আলী খানের যখন মাত্র আট বছর বয়স, তখন জ্বর হয়। তারপর ডান হাত অবশ হয়ে যায়। পড়াশোনা তেমন করেননি। বর্তমানে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর পশ্চিম কুয়াকাটার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন। রাস্তাঘাট মেরামত, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি।

স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে অনেক কম উচ্চতা (খর্বকায়) সাতক্ষীরার সিরাজপুর গ্রামের উম্মে কুলসুম জাহানের। কুলসুমের দাদাও ছিলেন খর্বকায়। তিনি কুলসুমের কষ্টটা বুঝতে পারতেন বলে সব সময় কুলসুমের পাশে ছিলেন। কুলসুম ২০১৮ সালে খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। কখনো হাঁস-মুরগি-ছাগল পেলে তা বিক্রি করেন, টিউশনি করে আর সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই চালিয়েছেন পড়াশোনা। কুলসুম বর্তমানে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তায় সংগঠন গড়ে তুলতে চান কুলসুম।

কুষ্টিয়ার ১ নম্বর হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য শামীমা আক্তারের তিন বছর বয়সে জ্বরের পর ডান হাত অবশ হয়ে অকেজো হয়ে যায়। তাঁর অন্য দুই বোনও শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাই শামীমার মা-বাবা ধরেই নিয়েছিলেন নিশ্চয়ই তাঁদের কোনো পাপের ফলেই মেয়েরা এমন হয়েছেন। শামীমা এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। শামীমার দুই মেয়ে। শামীমার স্বামীও একটি রোগে বর্তমানে শারীরিক প্রতিবন্ধী।

একাধিক নির্বাচনে বিজয়ী তাঁরা

রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত সদস্য আতেরা খাতুন। তিন বছর বয়সে ডান পায়ে ঘা হওয়ার পর বাবা তাঁকে কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঝাড়ফুঁক করেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা সুস্থ করেন। কিন্তু তার এই পা চিকন হয়ে গিয়েছিল। ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইউপি সদস্য হয়ে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর ২৮ নভেম্বর আবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।

মুঠোফোনে আতেরা খাতুন জানালেন, মেয়ের জ্বরের জন্য তিনি ঢাকায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। পড়াশোনা কত দূর করেছেন, এ প্রশ্নে সরাসরি বললেন, ‘আমি মেট্রিক ফেল।’ এ পর্যন্ত আসতে মানুষের কাছ থেকে শোনা সব থেকে বাজে কথা কোনটি ছিল, জানতে চাইলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘আমার যে একটা নাম ছিল, তাই তো মানুষ ভুলে গেছিল। ল্যাংড়া, খোঁড়া বলেই ডাকত। নির্বাচিত হওয়ার পর নামটা ফিরে পাইছি।’

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রতিবন্ধী ১১ জন জনপ্রতিনিধিকে সম্মাননা জানায় অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর মো. নুরুজ্জামান টুকুরও পোলিও হয়েছিল। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি পরিবারের সহায়তা পেয়েছেন সব সময়। স্নাতক এবং আইনপেশায় পড়াশোনা করা নুরুজ্জামান ২০১৩ সালের নির্বাচনে (২০১৩ থেকে ২০১৮) এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ সাল থেকে বর্তমানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

নয় মাস বয়সে পোলিওতে চুয়াডাঙ্গার মাহামুদ হক রজন আলীর ডান পা অকেজো হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাজে কথা বলেননি আবার তাঁর প্রতি আগ্রহও দেখাননি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে মুদিদোকান দেন। বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের এজেন্ট হয়ে কাজ করেন। এলাকার ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ ইউনিয়ন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। প্রথমবার ২০১৬-২০২১ মেয়াদে এবং দ্বিতীয়বার ২০২১-২০২৬ মেয়াদে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

১১ জন জনপ্রতিনিধিকে সম্মাননা জানানো হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

সুযোগটা দিতে হবে

নাহিদা আক্তারের পাঁচ বছর বয়সে জ্বর হলে পোলিওতে তাঁর বাম পায়ের রগ শুকিয়ে যায়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ২ নম্বর টিয়াখালী ইউনিয়নে (৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, আগে কোথাও অনুষ্ঠান হলে তাঁকে ডাকা হতো না। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। দুই সন্তানের মা নাহিদাকে এখন সবাই সম্মান দেন।

বগুড়ার জোড়গাছা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আহম্মেদ হোসেন। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। দেশে আসার পর ২০১৪ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান হাত কেটে ফেলতে হয়। তখন থেকে সবাই ‘লুলা’, ‘ডান্ডি’ বলে ডাকতে থাকে। তবে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ভালো কিছু করার উৎসাহ দিতেন। এক বন্ধুর সহযোগিতায় ‘ধানসিঁড়ি দইঘর’ নামে একটি দোকান চালাচ্ছেন তিনি।

বগুড়ার গাড়িদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান। চলতি বছরের ইউপি নির্বাচনে প্রথমবার তিনি ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সমানসংখ্যক (১১২৪) ভোট পান। সে জন্য ফলাফল ড্র হয় এবং আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরের বার নির্বাচনে ২ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আবদুল মান্নান। দুই বছর বয়সে পোলিও হওয়ার কারণে তাঁর এক পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। ছোটবেলায় তাঁকে কেউ খেলতে নিত না। ‘ল্যাংড়া’, ‘খোঁড়া’ বলে ডাকত। বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেননি—আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে। পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করার জন্য তিনি মুদিদোকান দেন।

আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়েও আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলাম বলেই মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই-এর ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট (প্রবেশগম্যতা) এবং বেসরকারি সংগঠন ইপসার অবৈতনিক উপদেষ্টা ভাস্কর ভট্টাচার্য নিজের অভিজ্ঞতায় বললেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়েও তিনি কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন বলেই বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছেন, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।