ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি দেখবে ইইউ

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোরের সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বৈঠক হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুধু ভোটের দিনই নয়, নির্বাচনের আগে ও পরের পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করে। সুষ্ঠু নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যম পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক দিকই বিবেচনায় রাখে তারা। বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর এসব কথা জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমন গিলমোর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তাঁরা শুধু নির্বাচনের দিন নয়, নির্বাচনের আগে ও পরের পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখেন। এর মধ্যে রয়েছে অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক মতবিরোধ পরিস্থিতি এবং গণমাধ্যমের অবস্থাসহ নির্বাচনের সার্বিক ব্যবস্থা।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, ইইউ প্রাক্‌-নির্বাচনী মিশন বাংলাদেশ সফর করে গেছে। তারা এ বিষয়ে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর তিনি নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে ইমন গিলমোর বলেন, বাণিজ্যসুবিধা প্রণয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও অর্থনীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার ছয় দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ইমন গিলমোর। এ সফরে তিনি মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। তাঁর বাংলাদেশ সফরের ঠিক আগে ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন ১৬ দিনের ঢাকা সফর শেষ করেছে।

ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ইইউর বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্বাচন কীভাবে হবে, কোনো দল অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, কোনো দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। তিনি আশা করেন, ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইইউর জিএসপি–সুবিধা ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ ছিল, যা তারা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব উন্নত দেশকে এ মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য করণীয় নির্ধারণে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্রাসেলসের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

আরও পড়ুন